সিলেটের সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট মহানগরের সাবেক সফল সভাপতি জননেতা প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এর অকাল প্রয়ানে এখনো সুখে কাতর সিলেটবাসী।
দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ নানা মাধ্যমে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কে নিয়ে তাদের স্মৃতিচারণ করছেন।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকমের স্মৃতি রোমন্থন।
তেমনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০ নং উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মোস্তাক আহমদ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রয়াত মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান কে নিয়ে এক আবেগঘন ফেসবুক স্টেটাসের মাধ্যমে স্মৃতি চারন করেন।
যা নিচে হুবুহু তুলে ধরা হল।
এই তো সেদিন এসেছিলেন আপনি,
নগন্য অজ পাড়া গায়ের কর্মী, আমার নির্বাচনী সভায়,ইতিহাসের প্রথম প্রিয় নেত্রী মানবতার বিশ্ব নেত্রী, বাংলাদেশ সফল প্রধানমন্ত্রী মাননীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যখন নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।
আপনি এসেছিলেন,আমি তখন দিশাহারা, কালো টাকা, আর দলীয় সুবিধা ভোগীদের যড়যন্ত্র এর কারনে,আসলেন, বললেন মোস্তাক এর বাবা আজ নেই,থাকলে হয়তো আজ ভোট ভিক্ষা চাইতেন,আমি তার অভিবাবক হিসাবে আজ আপনাদের সামনে হাজির এই সন্ধ্যায়, প্রিয় কামরান ভাই,ভুলি কেমনে আপনাকে,সে দিন এর এই কথা টুকু সব যড়যন্ত্র ধ্বংস হয়ে গিয়ে ছিল,।
মানুষ আপনার এই কথা টুকু শুনে পিঠে হাত দিয়ে আমাকে বলছিল যাও ঘরে আমরা তুমার দ্বায়িত্ব নিলাম,পাশ করলাম,দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর হঠাৎ ফোন করলেন চেয়ারম্যান সাব,আমি হতভম্ব, বললাম ভাই আমি মোস্তাক, না তুমি চেয়ারম্যান, আবেগ আপ্লুত হলাম,বললেন ওঠা শেষ করে দাও,বাসায় আসিও।
এই মায়া এই ভালবাসা,এই নির্দেশ, বড় মনে পড়ে আজ।
এত সম্পর্ক ছিল না আমার সাথে,নেত্রীর দেওয়া প্রতীক,কেমনে হারবে,জিত তে হবেই,আমি শিওর এর আগে কামরান ভাই আমাকে চিনতেন না।
কিন্ত তার পর আসলেন,বলে গেলেন অনেক কিছু,সভা শুরুর আগে বললেন,তুমি জিতবে,মন খারাপ করিও না।
ভাষা নেই আজ,আমার মত নগন্য কর্মীর এই পাওয়া যে অনেক বড় পাওয়া।
ওপারে ভাল থাকুন, আল্লাহ যেন জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন,এই দোয়া করি।