Home » ১৩ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে ২৩ বছরের এক যুবতীর বিয়ে!

১৩ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে ২৩ বছরের এক যুবতীর বিয়ে!

অদ্ভুত এক বিয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হলো ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপ্পরহল গ্রাম। পাত্রীর বয়স ঠিক থাকলেও পাত্রের বয়স একেবারেই কম। মাত্র ১৩ বছর বয়সী পাত্রের সঙ্গে ১০ বছরের বড় পাত্রীর বিয়ে দেয় পরিবার। আর তা করা হয় তাদের মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে।

ধুমধাম করেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু কেন হলো এমন অসম বিয়ে? বিষয়টি অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ বছরের কিশোরের মা তার মদ্যপ বাবার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। সংসার কীভাবে চলবে ভেবে না পেয়ে বড় ছেলের বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই মতই বেঙ্গালুরুর একটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মেয়ের পরিবারও রাজি হয়ে যায় বিয়েতে।

শেষ পর্যন্ত উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২৩ বছরের যুবতীর সঙ্গে নিজের ১৩ বছরের ছেলের বিয়ে দেন। গ্রামবাসীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়। সকলে আশীর্বাদও করেন। গ্রামের তহসিলদার জানিয়েছেন, অন্ধ্র প্রদেশের রীতি অনুযায়ী কনের পরিবার বিয়ের সময় প্রচুর পণ দেয়।

সেই পণের অর্থেই বাকি সন্তানদের বড় করতে চেয়েছেন কিশোরের মা।

১৩ বছরের পুত্রর ছোট একটি ভাই এবং দু‌টি বোন রয়েছে। মদ্যপ স্বামী রোজগারের সব টাকাই নেশায় উড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়েই ছেলের বিয়ে দিয়েছেন তিনি।তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়। পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি। গ্রামে গিয়ে বর-কনের খোঁজ নেয় তারা। তবে এ খবর পেয়ে পালিয়ে গেছে উভয় পরিবারই।

তহশিলদার শ্রীনিবাস রাও বলেন, ‘বিয়েটি বাতিল হয়ে যাবে। কারণ এটি আইনসম্মত নয়। বাবা-মা যদি দুই দিনের মধ্যে পাত্র-পাত্রীকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের হস্তান্তর না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মা’মলা করা হবে। তবে এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষেরই সন্ধান পায়নি পুলিশ। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সাংবাদিকরাও তাদের কোনো মন্তব্য নিতে পারেনি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *