Home » দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের কর্তৃক ইউনুছ আহমদ শামীম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের কর্তৃক ইউনুছ আহমদ শামীম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানা কর্তৃক মূহুরী (আইনজীবী সহকারী) ইউনুছ আহমদ শামীম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে গত ১০/০৬/২০২০খ্রি: তারিখ দক্ষিণ সুরমা থানাধীন উত্তর সিলাম (ধোপাঘাট) এলাকায় বিকাল অনুমান ১৫.০০ ঘটিকার সময় একটি বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়টি প্রচার করা হয়। ঐদিন রাত অনুমান ১৯.৩০ ঘটিকার সময় মৃতের আত্মীয়স্বজন মৃতদেহ এবং মৃতের কাপড়চোপড় দেখিয়া মৃতদেহটি মূহুরী (আইনজীবী সহকারী) ইউনুছ আহমদ শামীম এর বলিয়া সনাক্ত করেন। গত ১১/০৬/২০২০খ্রি: তারিখ এই বিষয়ে মৃতের ছোট ভাই বাদী হইয়া দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করিয়া একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। মৃতের আত্মীয়স্বজনের দেওয়া তথ্যাদি এবং প্রযুক্তির সহযোগীতায় ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহে গত ১৩/০৬/২০২০খ্রি: তারিখ সন্দিগ্ধ আসামী ১। রুহুল আমীন (৩৪), পিতা-সামছুল মিয়া, মাতা-রুকেয়া বেগম, ২। মৌসুমী বেগম (২৩), পিতা-তাজুল ইসলাম, স্বামী-রুহুল আমীন, উভয় সাং-শ্রীরামপুর দক্ষিণপাড়া, ইউপি-০৫নং কুচাই, ওয়ার্ড নং-০২, থানা-মোগলাবাজার, এসএমপি, সিলেটদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য দক্ষিণ সুরমা থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব মো: ইসমাইল পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ জনাব খায়রুল ফজল, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মো: মোখলেছুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/লিটন চন্দ্র দত্ত আসামীদ্বয়কে ব্যাপকভাবে হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামীরা হত্যাকান্ডের সহিত তাঁরা জড়িত মর্মে তথ্যাদি প্রদান করে। আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবহ্নত একটি জিআই পাইপ ও মৃতদেহ বহনকারী একটি প্রোভোক্স গাড়ী (যাহার রেজি নং-ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৬৬৬৭) বিয়ানীবাজার থানা এলাকা হইতে উদ্ধার পূর্বক যথযথ ভাবে জব্দ করা হয়। আসামীদ্বয়কে গত ১৪/০৬/২০২০খ্রি: তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে, আসামীরা বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট নিজেদের দোষ স্বীকার করিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সহ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এবং ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীর তথ্যাদি প্রদান করে। আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের পর বিজ্ঞ আদালনির্দেশক্রমে তাদেও জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনায় জড়িত অপর আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *