দেবযানী সরকার, কলকাতা: মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সাফল্য, অর্থ, শিক্ষা সবই জয় করেছিলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত৷ ফিটনেস ফ্রিক, আড্ডাবাজ, পজিটিভিটি, দিল্লির ইঞ্জিনিয়ার থেকে মুম্বাইয়ের তারকা, তবুও তাঁর কেন এই পরিণতি হল-এই প্রশ্ন বারবার জাগছে।
মনোবিদরা বলছেন, ডিপ্রেশন কারোর জীবনে কখনও বলে-কওয়ে আসে না। ইচ্ছে মতো আসে। অনেকেই আবার নিজের এই রোগকে চিনতে পারেন না। আর থেকেই ঘটে বিপত্তি। ডিপ্রেশনের চাপ সহ্য করতে না পেরে অনেকেই আত্মহত্যা করেন। যেমনটা ঘটেছে অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ক্ষেত্রে। মনোবিদ অনুপম দাসের কথায়, ১৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মানুষদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আমাদের দেশে গড়ে এক লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৬ জন আত্মহত্যা করেন।
ওই মনোবিদের বক্তব্য, শুধুমাত্র সামাজিক, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষরাই যে কেবল আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, তা একেবারেই নয়। অনেক সফল মানুষও আত্মহত্যা করেন। এই অসুখ সফল, ব্যর্থ, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, ধনী-গরিব দেখে হয় না।
প্রসঙ্গত, অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। রবিবার সকালে মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর সুশান্তের দেহ। পুলিশের দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে একজন সফল অভিনেতার এমন মর্মান্তিক পরিণতি যেন আন্দোলিত করে দিয়েছে বলিউড তথা তামাম দেশবাসীকে।
মনোবিদ ড. অনুপম দাস
জানা গিয়েছে বিগত ছয়মাস ধরে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ছিলেন সুশান্ত। অনেকের মনেই প্রশ্ন, এই হাসিখুশি ছেলেটার কোন ডিপ্রেশন থাকতে পারে? সিরিয়ালের এতো জনপ্রিয়তা, ‘কই পো চে’র মতো ছবি, ব্যোমকেশ বক্সী, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো চরিত্র, শেষ ছবি ব্লকব্লাস্টার ‘ছিছোড়ে’। যে ছবিটা আত্মহত্যার বিরুদ্ধে, জীবনকে উদযাপন করা নিয়ে। অথচ সেই ছবির নায়কই আজ আত্মহত্যা করলেন।
নির্বাহী সম্পাদক