সিলেট বিভাগের চার জেলাকেই গত ৬ জুন করোনার ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ‘রেড জোন’ ঘোষণার পর এ অঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আরও ঊর্ধ্বমুখী। যা দিশেহারা করে দিচ্ছে সিলেটবাসীকে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টানা ৭৭ দিনের ছুটি শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা এবং গণপরিবহন চলাচলের সময় শেষে নতুন নির্দেশনা দিচ্ছে সরকার। সেই নির্দেশনার আওতায় আসছে ‘রেড জোন’ সিলেটও।
গত ৩০ মে পর্যন্ত দীর্ঘ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে চলাচল ও গণপরিবহন চালুর নির্দেশনা দেয় সরকার। এখন ১৬ জুন থেকে নতুন নির্দেশনা মানতে হবে।
আজ রোববার (১৪ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সারাদেশে যে অবস্থায় ছিল, ঠিক একই অবস্থা চলমান থাকবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন আমরা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভিত্তিতে জোনিং করেছি। অধিক সংক্রমিত এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে এসব স্থানে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজকেই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রেড জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে। যাতে মানুষ বাইরে না যায়, ভেতরে না আসে। সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নির্দেশনা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সাধারণ ছুটির প্রস্তাবনা করেছি, আশা করি আজকের মধ্যে দিতে পারবো। আর বেসরকারি অফিসের ছুটির বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্পেসিফিক এরিয়া লকডাউন করবো। ১৪-২১ দিন লকডাউন থাকবে। সেখানে খাবার পৌঁছানো, অন্য রোগী থাকলে তার সেবা প্রাপ্তির জন্য কমিটি এবং হেল্প লাইন থাকবে। এছাড়াও করোনার বার্তা পেতে মোবাইল ট্রেসিং ও মোবাইল অ্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লকডাউন এলাকায় সংক্রমক ব্যাধি আইন প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এ সংক্রান্ত রেজুলেশন পেয়েছি।
প্রতিনিধি