দীর্ঘ বিরতির পর গত রাতে আবারও মাঠে গড়িয়েছে স্প্যানিশ লা লিগা। মাঠে নেমেছিলেন মেসিরা। নেমেই রেকর্ড বইয়ের আরেক পাতায় নিজের নাম খোদাই করে রাখলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা মাঠে দর্শক থাকুক বা না থাকুক, লিওনেল মেসির খেলায় কি তার আদৌ প্রভাব পড়ে?
অন্তত গত রাতের কথা বিবেচনা করলে মনে হতেই পারে যে না, পড়ে না। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে গড়িয়েছে ফুটবল। আবারও শুরু হয়েছে স্প্যানিশ লা লিগা। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে মাঠে না নামার কারণে পায়ে একটু মরচে পড়াই স্বাভাবিক। গতকাল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোই যেমন, এসি মিলানের বিপক্ষে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনাল খেলতে নেমে যেন একটু নিষ্প্রভই ছিলেন, মিস করেছেন পেনাল্টি।
তবে মেসির খেলা দেখে বোঝার উপায় ছিল না, তিন মাস পর খেলতে নেমেছেন। তাঁর আরেকটি জাদুকরি পারফরম্যান্সের সুবাদে গত রাতে মায়োর্কাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। একটি গোল করেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক, করিয়েছেন দুটি। আর ওই এক গোল দিয়েই আবারও ‘ইতিহাস’ হয়েছেন মেসি।
এই মৌসুমে লিগে এর মধ্যেই ২০ গোল করা হয়ে গেল মেসি। এই নিয়ে টানা ১২ মৌসুম এ কৃতিত্ব দেখালেন ছয়বারের বিশ্বসেরার খেতাব পাওয়া এই আর্জেন্টাইন তারকা। স্প্যানিশ লিগে এই কীর্তি আর কারও নেই!
শুধু গোল করাই নয়, করানোতেও মেসি অনন্য। সে প্রমাণ তিনি বারবার দিয়েছেন, দিলেন কালও। কার্লোস ব্রাথওয়েট ও জর্ডি আলবাকে দিয়ে দুই গোল করিয়ে এই মৌসুমে লিগে নিজের ‘অ্যাসিস্ট’ (গোল করানো) ১৪-তে উন্নীত করেছেন এই তারকা। এই মৌসুমে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। অর্থাৎ গোটা মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৩৪টি গোলে সরাসরি মেসির অবদান রয়েছে। অথচ চোটের কারণে এই মেসিই মাঠের বাইরে ছিলেন দেড় মাসের মতো, ভাবা যায়!
মেসি গোল করেছেন ডান পায়ে। অ্যাসিস্ট করেছেন বাঁ পায় ও মাথা দিয়ে। আক্ষরিক অর্থেই যেন ‘পারফেক্ট’ একটা ম্যাচ খেরলেন মেসি। ম্যাচসেরা কে হয়েছেন, সেটি তাই না বললেও চলে।
প্রতিনিধি