বুধবার জনসন অ্যান্ড জনসন জানিয়েছে, জুলাই মাসের মাঝামাঝি পরীক্ষামূলক ভাবে মানুষের দেহের করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে। এই সংস্থাটি ইতিমধ্যেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যাতে পর্যাপ্ত উৎপাদন ব্যবস্থা করা যায় দ্রুত। শুধু তাই নয়, এর কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ার আগেই ২০২১ সালে ওই টিকার এক বিলিয়ান ডোজ উৎপাদন করা যায় সেই টার্গেট নিয়েছে সংস্থা।
যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা অথবা টিকা বের হয়নি যা দিয়ে ভয়ঙ্কর মারণ এই করোনার চিকিৎসা করা যায়। গোটা বিশ্ব করোনার ভ্যাকসিন তৈরির পিছনে ছুটছে। কে আগে তৈরি করবে, চলছে প্রতিযোগিতা। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
এই সংস্থা সমীক্ষা করবে প্রতিষেধক টিকাটির নিরাপত্তা এবং প্রতিষেধক ক্ষমতা কতটা তা বুঝতে। এজন্য ১৮ থেকে ৫৫ বছরের পাশাপাশি ৬৫ বছর কিংবা তারও বেশি বয়সের এমন ১০৪৫ জন লোকের উপর পরীক্ষামূলক ভাবেপ্রয়োগ করে দেখা হবে ইউ এস এবং বেলজিয়ামে।
সংস্থার সায়েন্টিফিক অফিসার পল স্টফেল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রি ক্লিনিক্যাল ডেটার ভিত্তিতে তারা বিষয়টি দেখছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। এরপর আরও দ্রুতগতিতে ক্লিনিক্যাল ডেভলপমেন্ট করা হবে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, সংস্থাটি তাছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজ-এর সঙ্গেও আলোচনা শুরু করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষের দিকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পড়াটা নির্ভর করছে আগের পরীক্ষার ফল এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের উপর।
মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে গোটা দশেক করোনা টিকা। বিশেষজ্ঞদের অভিষমত, প্রতিষেধক টিকার কাজ শুরু হওয়ার ১২-১৮ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে।

নির্বাহী সম্পাদক