ভাইরাস হামলায় তছনছ দুনিয়ার অর্থনীতি। একের পর এক দেশে খাদ্য সংকট ও বেরোজগারির ধাক্কা লাগছে। এটি আসন্ন গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণ হতে পারে। এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
বিবিসি রিপোর্টে উঠে এসেছে করোনা হামলার প্রেক্ষাপটে সামাজিক দিকগুলি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিক্রিয়ায় এই বছরের গ্রীষ্মকালে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ দেখা দিতে পারে। ব্যাপক চাকরি ছাঁটাই, বেকারত্ব এবং সামাজিক-অথনৈতিক বৈসম্য আগামী দিনগুলোতে এমন সংঘাত সৃষ্টির কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে এর আগেই ডেবেনহ্যামস, রোলস রয়েস, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইজিজেট ইত্যাদি বহু বড় বড় কোম্পানি ব্যাপকভাবে চাকরি ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে বেড়েছে বেকারত্ব। সেই ধাক্কায় কমবে ক্রয় ক্ষমতা। অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের চাহিদা মেটানোর খরচ সম্ভব হবে না। সেই কারণেই শুরু হবে আইন হাতে তুলে নেওয়া।
সেই থেকেই সংঘর্ষ শুরু হবে। শুধু ইংল্যান্ড নয়, একই অবস্থা হতে চলেছে বিভিন্ন দেশে। এমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাধিক দেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা করোনা পরবর্তী সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এদিকে ইংল্যান্ডের করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা এখন বিশ্বে দ্বিতীয়।
ওয়ার্ল্ডোমিটার জানাচ্ছে, বুধবার পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮৯ হাজারের বেশি আক্রান্ত। মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার পার করেছে। ইংল্যান্ডের যা পরিস্থিত সেই একই অবস্থা তাবড় তাবড় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলির।
বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ধনী দেশগুলির তুলনায় মাঝারি ও গরিব দেশগুলিতে আরও বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছেন, তথাকথিত কমিউনিস্ট শাসনের দেশগুলি করোনা বিপর্যয় সামলে নজির তৈরি করেছে। সেখানকার জনজীবন সুষ্ঠুভাবেই চলছে।
নির্বাহী সম্পাদক