করোনাভাইরাস সংক্রমণে রেড জোনের আওতায় পড়া সিলেটে চলছে লকডাউন। গতকাল মঙ্গলবার থেকে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। সেনা সদস্যদের পাশাপাশি সিলেট জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
সবধরণের দোকানপাট, গণপরিবহণ সিলেটে চললেও সেগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না সেটি কঠোরভাবে তদারকি করবে প্রশাসন। তবে, গত রবিবার সিলেটকে করোনা পরিস্থিতিতে রেড জোন ঘোষণা করা হলেও দোকানপাট বন্ধ রাখা কিংবা গণপরিবহণের বিষয়ে নতুন করে কোন নির্দেশনা আসেনি।
এ ব্যপারে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. এইচ. এম. মাহফুজুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির শুরুতেই সিলেটকে লকডাউন করা হয়েছিল, যেটি এখনো বলবৎ রয়েছে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি গণপরিবহন চলাচল ও দোকারপাট খুলে দেয়ায় সিলেটেও সেগুলো স্বাভাবিকভাবে চলছে। নতুন করে এসব ব্যপারে কোন নির্দেশনা এখনো আসেনি।
জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, রেড জোন ঘোষণার পর থেকে সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যেখানেই স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হবে সেখানে অভিযান করা হবে।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মঙ্গলবার সিলেটে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পৃথক অভিযানে ২৭৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। পরে জরিমানা আদায় করে মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের আওতাধীন ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করার দায়ে ২৬৭টি মামলা দায়ের করেন। পরে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। এ ছাড়া নগরীতে ৯ জনকে জরিমানা করেছে সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন এই জরিমানা আদায় করেন।
প্রতিনিধি