মোঃ সফি আহমেদ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস শাখায় নায়েক হিসেবে কর্মরত। তিনি সিলেট মহানগর এলাকায় মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত তার ভাইয়ের মৃত্যুতে তিনি নিজ এলাকায় ছুটি নিয়ে আসছেন। তার সাথে ও করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম থেকে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যের ভাই নজরুল ইসলাম রিপন। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের দ্বারেদ্বারে খাবার ঔষধ সহ বিভিন্ন রকম সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষের কাছে।
সফি আহমেদ ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে
৯৯৯ ফিরিয়ে দেয়নি আমাদের খালি হাতে।
পুলিশের চাকুরী করি তাই মানুষ কেমন যেন ভুরু কুঁচকে তাকায়। হয়তো মনে মনে ভাবে, কেন ছেলেটা করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসে! কোন মতলব নাইতো!
এতে আমার কিছু যায় আসে না, “বাবা মুক্তিযোদ্ধা তাই নিন্দুকের এই যুক্তিযুদ্ধ আমাকে হার মানাতে পারে না।”
যাইহোক, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে তার সাথে ঝড়ো হাওয়া, কেমন জানি ঘুম ঘুম একটা ভাব। কিন্তু মানুষের অসহায় অবস্থা আমাকে ঘুমোতে দেয় না, দেয় না স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে।
আজকে আমার নিজ এলাকা কুলাউড়ায় এই ঝর বৃষ্টির মধ্যে এক অসুস্থ মাকে নিয়ে যেতে হবে সিলেট সদরে তাই একটি এম্বুলেন্স প্রয়োজন কোনো ভাবেই এম্বুলেন্স বা গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। একটা এম্বুলেন্স এসেছিল বৈকি, কিন্তু রোগীর বিবরণ শুনে রীতিমত হাত-পা গুটিয়ে পালিয়ে চলে গেল আমাকে হতবাক করে দিয়ে।
বড় ভাই বলতেন বিপদের সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখবি, মাথা ঠান্ডা রেখেই ৩৩৩ এ কল দিলাম এবং তাদের সাজেশন হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি সিলেট বড় কোনো হাসপাতালে নিতে হবে। যেহেতু কোথাও কোনো গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেন্স পাচ্ছিনা তাই কল করি ৯৯৯ এ। আমাদের সমস্যার কথা শুনে তৎক্ষণাৎ আমাদের লাইনে রেখে কুলাউড়ার অনেক এম্বুলেন্স সার্ভিসে কল করলেন ৯৯৯ অফিসার। কোন এম্বুলেন্স সার্ভিস ফোন রিসিভ করেনি! কুলাউড়া থেকে কোন রেসপন্স না পেলেও ৯৯৯ এর অফিসার বন্ধ করে দেননি তার চেষ্টা, উনি কুলাউড়া শহরের বাহিরে মৌলভীবাজার থেকে সাহায্য নিয়ে আমাদের কাছে এম্বুলেন্স পাঠান।
সত্যি বলতে আমি পুলিশ বলে নিজেকে গর্ব বোধ করছি। ৩০ মিনিটের ভিতরে এম্বুলেন্স এসে মাকে হাসপাতালে পাটাতে সক্ষম হই।
অসংখ্য ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ এর ৯৯৯ সার্ভিস।
স্যালুট বিডি পুলিশ।