বরিশাল প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (রাব্বি) : রাজনীতির মাধ্যমে গরীব অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবা করে যেতে চাই। সেই সাথে অবহেলীত নারী অধিকার আদায়ে কাজ করে যেতে চাই আমৃত্যু।নারীরা ঘরের কাজ না করে রাজনীতি করবে এনিয়ে মানুষ অনেক কথা বলে, সেই কথা কান না দিয়ে আমি আমার সততা ও যোগ্যতা দিয়ে অবহেলীত বরগুনাবাসী পাশে থাকতে চাই। সংযোগ টোয়েন্টিফোরের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এমনটাই বলছিলেন বরগুনা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নারী নেত্রী ফারহানা আলম মিতা।
তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, পারিবারিক কলহের মিমাংসাসহ সমাজের সকল কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়ে যেতে চাই। দরিদ্র অবহেলীত মানুষের পাশে দাড়িয়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।
ফারহানা আলম মিতা ১৯৭৪ সালের ২ অক্টোবর বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার চেনগুটিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী তালুকদার পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। বাবা মোজাম্মেল হোসেন তালুকদার ছিলেন একজন সরকারি চাকুরিজীবি। মা হাসিনা বেগম ছিলেন একজন গৃহীনি।হাসিনা বেগমের বাবা ফজর আলী তালুকদার তৎকালীন সময়ে ওসি। হাসিনা বেগমের পৈতৃক নিবাস কোটালি পাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত তালুকদার বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় ফারহানা আলম মিতার মেঝো মামা হারুন অর রশিদ তালুকদার কাঞ্চন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহভাজন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে তিনি তা প্রত্যাক্ষান করেন। এদিকে ফারহানা আলম মিতার বাবা একজন সরকারি চাকুরিজীবি হলেও মনে প্রানে ভালোবাসতে বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারন করতেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৮৯ সালে অধ্যায়নরত অবস্থায় দক্ষিন বঙ্গের সিংহ পুরুষ সাবেক হুইপ, পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রনেতা বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার স্ত্রী শাহানারা আবদুল্লাহ‘র হাত ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পদার্পন করেন তিনি।
এরপর বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন বরগুনা সদর উপজেলা নিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রবাসী ফিরোজ আলম পান্নার সাথে। এরপর ধিরে ধিরে সক্রিয় হতে থাকেন বরগুনার রাজনৈতিক অঙ্গনে। খুব অল্প সময়ে নিজের স্বীয় যোগ্যতা ও সততা দিয়ে আকৃষ্ট করেন সকলকে। এরপর থেকেই বরগুনার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নিজেকে রেখেছেন সক্রিয়।
স্বীয় দক্ষতা ও যোগ্যতায় ইতোমধ্যেই বরগুনা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও তাতীলীগ বরগুনা জেলা কমিটির সহ সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মলীগ বরগুনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বরগুনা ইউনিটের আজীবন সদস্য, মানবাধিকার বরগুনা জেলা শাখার নির্াহী সদস্য ও মহিলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িতব পালন করছেন।
নারী অধিকার আদায় ও তাদের সমাজে সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে আপনি কি ভূমিকা পালন করবেন এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংযোগ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, আগামী দিনে নারী অধিকার আদায়ে সমাজের সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। সেই সাথে অবহেলীত নারীদের সমাজের সকল কাজে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে নারীর সমান অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে চাই।
আপনি জনগনের জন্য কাজ করছেন তাই আগামী দিনে জনপ্রতিনিধি হওয়া স্ব্প্ন দেখেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সদা হাস্যোজ্বল নারী নেত্রী ফারহানা আলম মিতা বলেন, আমি জনগনের জন্য কাজ করি জনগন চাইলে অবশ্যই আমি জনপ্রতিনিধি হবো। তবে জনপ্রতিনিধি হই বা না হই মানুষের সেবায় নিজেকে আজীবন নিয়োজিত রাখবো।