এমন পরিস্থিতির শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিভাগ সংশ্লিষ্ট এবং বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য ছিলো- ঈদ পরবর্তী সিলেটের জন্য এক ‘ভয়ঙ্কর সময়’ অপেক্ষা করছে। আর বিশেষজ্ঞদের সে আশঙ্কাকে সত্যি করে এখন প্রতিদিনই সিলেট জেলায় প্রাণনাশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ।
এর মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশু থেকে শুরু করে চাকরিজীবি, চিকিৎসক, নার্স, সংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, জননেতা ও দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি এবং পেশার মানুষ। ঈদের আগে সিলেটসহ সারা দেশে ‘সীমিত পরিসরে’ মার্কেট, দোকানপাট ও শপিং মল খুলে দেয় সরকার। এই সুযোগে হু হু করে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বিস্তারের মুহুর্তেও নগরসহ সিলেটের সর্বত্রই দোকান-মার্কেটে প্রচণ্ড ভিড় করে ঈদের কেনাকাটা করেন লোকজন। এসময় মানুষের মাঝে শারীরিক দূরেত্বের কোনো বালাই ছিলো না এবং স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করেনি কেউ।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয় সিলেট’র পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে- সিলেট জেলায় গত ২৮ মে ৩৯ জন, ২৯ মে ৪৫ জন, ৩০ মে ৩১ জন, ৩১ মে ৭৩ জন, ১ জুন ২১ জন, ২ জুন ৪৬, ৩ জুন ২৫ জন এবং আজ ৪ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ৫৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ৭ দিনে সিলেট জেলায় গড়ে ৪৭ জনের অধিক মানুষ প্রাণনাশী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়াও গত ৭ দিনে সিলেট জেলায় করোনা কেড়ে নিয়েছে ৯ জনের প্রাণ। গত ২৮ মে পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিলো ১১। তারপরে ২৯ মে ১ জন, ৩০ মে ১ জন, ১ জুন ১ জন, ২ জুন ৩ জন, ৩ জুন ১ জন এবং আজ ৪ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২ জন। এ হিসেবে গড়ে প্রতিদিন সিলেটে একজনের অধিক মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনা ভাইরাসে।
এদিকে, সিলেটে এমন ‘ভয়ঙ্কর সময়’ উপস্থিত হওয়ার জন্য ঈদের আগের দিনগুলোতে ভিড় করে কেনাকাটা করাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের আগেই সিলেটবাসীকে বার বার পরামর্শ এবং সতর্ক করা হয়ে ছিল যাতে কেনাকাটা-টা সীমিত পরিসরে হয় এবং অবশ্যই অবশ্যই স্বাস্থবিধি মেনে হয়। কিন্তু কেউ এসবের তোয়াক্কা করেনি। যার ফলে সিলেটে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান