Home » স্কুল পালিয়ে সচিনের মরু ঝড় দেখেছিলেন রায়না

স্কুল পালিয়ে সচিনের মরু ঝড় দেখেছিলেন রায়না

১৯৯৮ শারজায় সচিন তেন্ডুলকরের সেই বিখ্যাত মরুঝড়, যা দেখে স্পিনের জাদুকর শেন ওয়ার্ন দ্ব্যর্থহীনভাবে সচিনকেই ‘সেরা’ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। বিশ বছরের বেশি সময় বাদেও সচিনের সেই ইনিংস এখনও ক্রিকেট অনুরাগীদের স্মৃতিতে টাটকা। শারজায় ওই সিরিজে জোড়া শতরান হাঁকিয়েছিলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। আর সেই জোড়া শতরান স্কুল পালিয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে দেখেছিলেন সচিনের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সতীর্থ সুরেশ রায়না।

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে সম্প্রতি এক দেওয়া সাক্ষাৎকারে রায়না জানিয়েছেন, শারজায় প্রিয় তারকার ব্যাট যাতে মিস না করতে হয় সেজন্য শেষ দু’টি পিরিয়ডের আগে স্কুল থেকে পালিয়েছিলেন তিনি এবং তাঁর সহপাঠী অমিত। তাঁদের বাড়িতে টেলিভিশন থাকলেও তাতে দূরদর্শন ছাড়া অন্য কোনও চ্যানেল আসত না। তাই ম্যাচ দেখার পরিকল্পনা সাজানো ছিল সুনীল নামে আরেক বন্ধুর বাড়িতে। সাদা-কালো টেলিভিশন হলেও তাতে গুরুত্বপূর্ণ কেবল সংযোগ ছিল।

সেখানে বসেই স্টার স্পোর্টসে শারজায় সচিনের মরু ঝড়ের মজা নিয়েছিলেন সুরেশ রায়না এবং তাঁর বন্ধুরা। মাত্র ১২ বছর বয়সে স্কুল পালিয়ে সচিনের ব্যাটিং দেখা এবং তার ১৩ বছর বাদে ছোটবেলার নায়কের সঙ্গেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হওয়া। পিছনে ফিরে স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়ছিলেন রায়না। বন্ধুর বাড়িতে প্রিয় তারকার ব্যাটিং দেখার সময় তাঁদের জন্য বন্দোবস্ত ছিল কাবাবেরও। সাক্ষাৎকারে সে কথাও জানিয়েছেন রায়না।

রায়না বলেছেন, ‘শারজার টুর্নামেন্টটা যখন চলছিল আমরা স্কুলের শেষ দুটো পিরিয়ড ছেড়ে পালাতাম। সচিন পাজি ওই সময় ওপেন করতে নামতেন। আমরা শুধুমাত্র সচিন পাজি’র ব্যাট দেখার জন্যই প্রতীক্ষা করতাম, কখনও কখনও দ্রাবিড় ভাইয়ের। সচিন আউট হলেই আমরা ম্যাচ দেখা বন্ধ করে দিতাম।’

টুর্নামেন্টে সচিনের জোড়া শতরানের মধ্যে প্রথমটি ছিল বিখ্যাত ‘মরু ঝড়’। যে ম্যাচে ১৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন মাস্টার-ব্লাস্টার। সেই ম্যাচের কথা বলতে গিয়ে রায়না বলেন, ‘আমরা তখন মাত্র ১২। ক্লাস সেভেনে পড়ি। পাজি টানা দু’ম্যাচে শতরান হাঁকিয়েছিল। মাইকেল কাসপ্রোইচকে বিরাট একটা ছক্কা হাঁকিয়েছিল ওই ম্যাচে। যেটা কমেন্ট্রি বক্সে টনি গ্রেগের মাথার উপর দিয়ে গ্যালারিতে পড়েছিল। পাজির ফর্ম আর কমেন্ট্রি বক্সে টনি গ্রেগের মত নাম এই দুই’য়ের মিশেলে একটা রোমাঞ্চকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *