Home » পেছানো হচ্ছে একাদশে ভর্তির কার্যক্রম

পেছানো হচ্ছে একাদশে ভর্তির কার্যক্রম

জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও তা আপাতত হচ্ছে না। রোববার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জুন মাসে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সবকিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অধ্যাপক জিয়াউল আরও বলেন, পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মাসে আদৌ শুরু হবে কি না তা নিশ্চিত নয়। সবকিছু নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কলেজে ভর্তির সঙ্গে ১৭ থেকে ১৮ লাখ শিক্ষার্থী জড়িত। ভর্তির সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিছু কাজ করতে হয়, ফলে এই সময় তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানতো এখনো বন্ধ, কাজেই অপেক্ষা করছি।’

মে মাসের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলে আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ড থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের দিকে যেহেতু (একাদশ শ্রেণির) ক্লাস শুরুর চিন্তা, তাই এখনই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করাটা রিস্ক হয়ে যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন করা গেলেও শিক্ষার্থীরা কম্পিউটারের দোকানে যায়, কলেজে যায়। আমাদের যে অভিজ্ঞতা, প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার অভিভাবক বোর্ডেই আসেন। হয়তো আবেদন করতে পারেননি বা আবেদন করার সময় ভুল হয়েছে…সেটা ঠিক করতে দৌড়ে আমাদের কাছে আসেন। এসব বিচার-বিশ্লেষণ করে বলছি সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হবে না।…তবে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ১০ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও মাধ্যমিকের ফল ঝুলে যাওয়ায় কলেজে ভর্তির নীতিমালাই জারি করা হয়নি।

তবে রোববার ২০২০ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার ১০টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এর আগে গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।
সূএ:আমাদের সময়

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *