ডেস্ক নিউজ
: বহুল আলোচিত সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তার এই সফরকে ঘিরে এরই মধ্যে কিমের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষও নজিরবিহীনভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করে তুলেছে।
এদিন প্রথমেই দেখা যায়, সুন্দর পরিচ্ছন্ন পোশাক, নীল ও সাদা ডোরা দাগের টাই পরা লোকজন কিমকে ঘিরে রেখেছেন। তিনি যখন সামরিক সীমারেখা পার হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তখন তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক কঠোর। এছাড়া, কিম যখন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করেন তখন তার চারপাশ ঘিরে ছিল সতর্ক সেনাদের বিশাল ব্যূহ। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনের সঙ্গে কিমের মিলিত হওয়ার সময় তাদের কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়।
পরে দুই নেতা সকালের বৈঠক শেষ করলে স্ফীত পকেটের লেপাল ব্যাজ পরা একডজন লোক তাদের লাঞ্চের আগে কার্যক্রম শুরু করেন। কিমের অফিসিয়াল গাড়ির আশপাশে তারা জগিং করে এক ধরনের মানব ঢাল তৈরি রাখেন।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে কঠোর অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়াও। কিম যেখানে উপস্থিত থাকবেন, সেখানে কোনো বিদেশি অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে কয়েক ঘণ্টার নিরাপত্তা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সব ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও ফোন অবশ্যই সমর্পণ করে দিতে হবে।
এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জন ইলের নিরাপত্তাব্যবস্থায় কাজ করা রি ইয়ং গুক বলেন, বিদেশ ভ্রমণ, সামরিক ইউনিট ও খামার পরিদর্শনের সময় উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ছয় স্তরের নিরাপত্তা দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, এটিকে পৃথিবীর অন্যতম এক কঠোর নিরাপত্তার চাদর বলা যায়। যার ভেতর দিয়ে একটি পিঁপড়াও প্রবেশ করতে পারে না।
বহুল কাঙ্ক্ষিত ও ঐতিহাসিক দুই কোরিয়ার এই বৈঠক শুরু হয় শুক্রবার সকালে। এতে নেতৃত্ব দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী বেসামরিকীকৃত এলাকা পানজুনজাম গ্রামের পিস হাউসে বৈঠকটি শুরু হয়।
বার্তা বিভাগ প্রধান