পাকিস্তানের করাচিতে ৯০ যাত্রী ও ৮ ক্রু নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি লাহোর থেকে এসেছিলো বলে জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ পাকিস্তানের শহর করাচির বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় একটি এয়ারবাস এ৩২০ যাত্রীবাহী বিমানটি আবাসিক পাড়ায় বিধ্বস্ত হয়।
শুক্রবার পাকিস্তানের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ফ্লাইট পিকে -৮৩০৩-এর পূর্ব শহর লাহোর থেকে করাচী যাওয়ার দু’জন যাত্রী দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিলেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। দুর্ঘটনা থেকে তৃতীয় যাত্রীর বেঁচে থাকার বিষয়টি আত্মীয় দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে করাচির যে আবাসিক এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেখান থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে।
বিমানটি করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছিল। বিমানবন্দরের প্রায় দুই মাইল উত্তর পূর্বে করাচির মডেল কলোনি নামে একটি এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ে। টিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে এলাকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ উজায়ের জানিয়েছেন বিকট আওয়াজ শুনে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। “প্রায় চারটি বাড়ি পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। প্রচুর ধোঁয়া আর আগুন জ্বলছে। ওরা আমার প্রতিবেশি। ভয়ঙ্কর দৃশ্য।”
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী ড. কানওয়াল নাজিম বলেছেন তিনি মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। এবং মসজিদ লাগোয়া তিনটি বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে।
সরু রাস্তার জন্য উদ্ধারকাজের জন্য যানবাহন এবং অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রচুর মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছে।
পাকিস্তান সেনা বাহিনী বলেছে তাদের দ্রুত মোকাবেলা বাহিনীর সৈন্যরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধার কাজে সহায়তার জন্য।
স্থানীয় হাসপাতালগুলোয় জরুরিকালীন অবস্থা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস লকডাউনে বন্ধ থাকার পর মাত্র কয়েকদিন আগে দেশটিতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল আবার শুরু হয়েছে। রমজানের শেষে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতিতে অনেকেই এখন শহরে ও গ্রামে তাদের বাড়িতে যাচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। পিআইএ-র প্রধান নির্বাহী এয়ার ভাইস মার্শাল আরশাদ মালিক বলছেন পাইলট ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানিয়েছিলেন যে বিমানে “যান্ত্রিক ত্রুটি” দেখা যাচ্ছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান