ভারতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের জন্য স্বপ্নিল মুহূর্তের চেয়ে কম কিছু নয়। ঘুম থেকে জেগে ঘরে বসে পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার চোখধাঁধানো সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন তারা। চমকে যাওয়ার মতোই ঘটনা!
কাঞ্চনজঙ্ঘা ও শিলিগুড়ি শহরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। তবুও ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট উঁচু এই পর্বতশঙ্গ দৃশ্যমান। এজন্য সারাভারতে আরোপিত অবরোধকে (লকডাউন) ধন্যবাদ দেওয়া যায়! জনজীবন স্থবির থাকায় বায়ুদূষণ ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কার দেখা যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। টুইটারে একজন জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে নিজেদের বাড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলেছেন তার বাবা। সেটি ভাইরাল হতেই অনেকে পর্বতশৃঙ্গটির ছবি তুলে শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি দার্জিলিংয়ের নাইটিঙ্গেল পার্ক থেকে তোলা।
ভারতের সিকিম রাজ্যের সঙ্গে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা। হিমালয় পর্বতের এই অংশকে ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমল’ বলা হয়। এর পশ্চিমে তামূর নদী, উত্তরে লহনাক চু নদী ও জংসং লা শৃঙ্গ এবং পূর্বদিকে তিস্তা নদী।
লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় প্রকৃতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে। সড়কে যেখানে আগে শুধু মানুষ দেখা যেতো, সেখানে বিচরণ করেছে বন্যপ্রাণীরা। নদীর জল হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ। বায়ুদূষণ নেমে গেছে সর্বনিম্ন স্তরে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কয়েকটি স্থানে এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গেছে। গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে গঙ্গা নদীর পানি পরোপুরি পরিষ্কার দেখিয়েছে। কলকাতা ঘাট ও মিরাটে ডলফিন চোখে পড়েছে। এসব উদাহরণ প্রমাণ করে মানুষের সহায়তা ছাড়াই প্রকৃতি ভালো থাকতে পারে। কোভিড-১৯ লকডাউনের মধ্যে প্রকৃতি পুনরুজ্জীবিত হওয়া আশাব্যঞ্জক।
কিছুদিন আগে পাঞ্জাবের জালান্ধার শহর থেকে ঘরে বসেই ১২৫ মাইল দূরে তুষারাবৃত হিমালয় পর্বতমালার ধওলাধর রেঞ্জ দেখে বিস্মিত হন অনেকে। ৩০ বছর পর এর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এরপর উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে দৃশ্যমান হয় তুষারে আচ্ছাদিত হিমালয়ের চূড়া।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

বার্তা বিভাগ প্রধান