শুদ্ধবার্তাটোয়েন্টিফোর:
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের তফশিল এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড়ে নগরজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন অন্তর্ভূক্ত হওয়া প্রায় ২৪ হাজার ভোটে চোখ রেখে মাঠে রয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সিসিকের আগামী নির্বাচনে এসব তরুণ ভোটারই ‘মূল ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, আগামী জুলাই মাসের শেষদিকে সিলেট সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের পরপরই সিলেট সিটিতে নির্বাচন নিয়ে ইসি প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশনের প্রক্রিয়ার দিকে চেয়ে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নিরবেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মূল টার্গেট ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া তরুণ ২৪ হাজার ভোটার।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকা অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন যুক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ১৮ জন ভোটার। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ১১০ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৯০৮ জন। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সিসিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। নতুন যুক্ত হওয়া ওই চব্বিশ হাজার ভোটার সংখ্যা নিয়ে বর্তমানে সিসিকে মোট ভোট ভোটার তিন লাখ ১৫ হাজার ৬৪ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৩ জন নারী ভোটার।
হালানাগাদকৃত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, সিলেট সিটির ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছেন ৭নং ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৬৮ জন। এছাড়া নগরীর ২নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে কম ছয় হাজার ৬১০ জন ভোটার রয়েছেন। ২০নং ওয়ার্ডের সম্ভাব্য ২ প্রাথী নিয়ে রয়েছে তুমুল উত্তেজেনা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের পরবর্তী নির্বাচনে ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন ভোটার তথা তরুণ ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের নির্ধারক হিসেবে কাজ করবে। এই বিপুল সংখ্যক তরুণ ভোটার যে প্রার্থীর দিকে ঝুঁকবে, সে প্রার্থীর পাল্লা ভারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সে অনুযায়ী নির্বাচনী ইশতেহার প্রার্থীরা তৈরী করবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিসিকের পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান এবং বিএনপি থেকে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে তাঁরা নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভোট টানতে সে অনুযায়ী ইশতেহার তৈরীর ইঙ্গিত দিয়েছেন।