নাজিয়া হাসানের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। গতকাল রোববার বিকালে নাজিয়া হাসান তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত করেন।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অপূর্বর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর অপূর্ব তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনিও বিবাহবিচ্ছেদের সত্যতা স্বীকার করেছেন। বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টি অপ্রত্যাশিত জানিয়ে অপূর্ব লিখেন—নাজিয়া হাসানের সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের চমৎকার জার্নির বিষয়টি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সবার সঙ্গে শেয়ার করছি। একটি অপ্রত্যাশিত বাঁক আমাদের হতবাক করে দিয়েছে। যদিও এটি আমরা চাইনি। কিন্তু কষ্টের হলেও এই বাঁকবদল আজ আমাদের এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে।
প্রাক্তন স্ত্রীর প্রশংসা করে এ অভিনেতা লিখেন—দীর্ঘ সময় আমরা একসঙ্গে ছিলাম। নাজিয়া অসাধারণ একজন জীবনসঙ্গী ও সত্যিকারে শুভাকাঙ্ক্ষী ছিল। আমার জীবনের অনেক সফলতার চাবিকাঠি ছিল নাজিয়া। সে অসাধারণ একজন মানুষ। আত্মবিশ্বাসী, উদ্যোমী—সবকিছু ছাপিয়ে সে অত্যন্ত দয়ালু ও মানবিক মানুষ। আমার ক্যারিয়ারে অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের পুত্র আয়াশ। এই চমৎকার উপহারের জন্য নাজিয়াকে কখনো ধন্যবাদ দিয়ে ঋণ শোধ করতে পারব না। সে অনুকরণীয় একজন মা। আমাদের ছেলের দায়িত্ব আমরা একসঙ্গে পালন করব।
সহকর্মী, ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে অপূর্ব লিখেন—আমি বুঝতে পারছি, বিবাহবিচ্ছেদের মতো ভয়ংকর ঘটনা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিবে। এজন্য বন্ধু, সহকর্মী এবং অসংখ্য ভক্তকে সদয়ভাবে আমাদের বিষয়টি ভাবার জন্য অনুরোধ করছি। যাতে আমি আর নাজিয়া এই কঠিন সময় পার করতে পারি।
২০১১ সালের ২১ ডিসেম্বর নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অপূর্ব। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। এ সংসারে জায়ান ফারুক আয়াশ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
এর আগে জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু রাজিব নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রভার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ সংসারের ইতি টানেন অপূর্ব।
বার্তা বিভাগ প্রধান