দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্যাটাগরি-৫ মানের সুপার সাইক্লোন এ পরিণত হয়েছে। এর আগে সাইক্লোনে রূপ নেবার পর গতকাল থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত ২০০৪ সালের নামের তালিকা অনুযায়ী এটির নাম রাখা হয়েছিল ‘ আম্ফান’। সাইক্লোনটির কেন্দ্রের আশেপাশে বাতাসের বেগ ২২০ কিলোমিটার/ঘন্টা অতিক্রম করার পর বাংলাদেশ সময় সোমবার ১২টার পর জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার এর পক্ষ থেকে আম্ফানকে ক্যাটাগরি-৫ মানের সাইক্লোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর এক ঘন্টা পর ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও এটিকে ‘সুপার সাইক্লোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আজ সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী সাইক্লোনটি কেন্দ্রের অবস্থান ছিল ১৪.১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬.৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে; মংলা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম থেকে ১,০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং কক্সবাজার থেকে ১,০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। সেই সময়ে এটি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে ১০ ডিগ্রি কৌনিক পথে উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। সাইক্লোনটির কেন্দ্রস্থলের ৬৫ কিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে বাতাসের বেগ ২৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যা দমকা হাওয়ার বেগে ৩১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত উন্নীত হচ্ছে। কেন্দ্রস্থলের আশেপাশে সামুদ্রিক ঢেউ এর উচ্চতা প্রায় ১৮ মিটার।
বর্তমান গতিপথ অপরিবর্তিত থাকলে এটি আগামী ২০ মে বিকালে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমানা ঘেঁষে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সুন্দরবন এলাকা দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে শুরু করবে। তবে এর প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের সমূদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ মিটার বা তার বেশি উঁচু জলোচ্ছাস দেখা দিতে পারে সেই সাথে তীব্র ঝড় ও বৃষ্টি হবে বলে আশংকা করা যাচ্ছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান