ছাতক প্রতিনিধি: ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের বড়পলির গ্রামে (১৬ ই মে) রাজ্জাক(ছদ্মনাম) নামের এক যুবক একই গ্রামের এক হতদরিদ্র্য পরিবারের মেয়েকে নারী নির্যাতনের (যৌন হয়রানীর) সময় গ্রামবাসী হাতেনানাতে ধরে ফেলে।এ নিয়ে গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে।এমতাবস্হায় উভয় পক্ষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ ও মেম্বার নোয়াব আলী স্বরণাপন্ন হয়।তাদের আশ্বাসে বিচার বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়।
বিচারে গ্রামবাসী আশা করেছিল চেয়ারম্যান সাহেব সুন্দর একটা সমাধান দিবেন।চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ তিনি বিচারে ছেলে মেয়ের জিম্বাদার হয়ে পরের (১৭ মে ) বাদ তারাবি শালিস বৈঠক নির্ধারণ করেন।
কিন্তু (১৭ মে) বাদ তারাবি চেয়ারম্যানসহ ছেলের পক্ষের কেউ বিচারে হাজির হয়নি।তিনি নিজে বৈঠকে হাজির না হয়ে লোক পাঠিয়ে তারিখ নেয়ার চেষ্টা করেন।এ সময় বৈঠকে চরম হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
মঈনপুর বহুমখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জনাব সাজলুজ্জামান দুদু সাহবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,চেয়ারম্যান গায়াছ আহমদ সাহেব এরকম যৌন হয়রানি মূলক বিচারের খুব সুন্দর সুরাহা করেছে, আমরা অতীতে তা দেখেছি।তিনি নিজে এক দিনের মধ্যে কাজি এনে বিবাহর ব্যবস্থাপনা করছেন।কোনো অদৃশ্য কারণে চেয়াম্যান সাহেব জিম্মাদার হয়েও নিজে ও ছেলের পক্ষ হাজির হয়নি তাঁর বোধগম্য নয়।তিনি আরো বলেন, গ্রামের শান্তি সৃঙ্খলা বজায় রাখতে এটার সুষ্ঠু সমাধান ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।
এদিকে চেয়ারম্যান ও প্রতিপক্ষের লোক গ্রামের বিচার বৈঠকে না আসায় গ্রামের বোধগম্যসমাপূর্ণ সাধারণ মানুষ রাগে ক্ষুবে ফুঁসে উঠেছে। হতদরিদ্র দিনমজুরে আত্মীয়স্বজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।তাদের একজন ইব্রাহিম আলী বলেন,চেয়ারম্যান শালিসের নামে আমাদের নিয়ে তামাসা শুরু করছেন।গ্রামের যদি কোনু মারমারি বা মেয়ে কিছু হয় তাহলে সম্পন্ন দায়ভার চেয়ারম্যানের নিবেন ।কারণ তিনি যদিন সুরাহা করতে না পারেন তাহলে আমাদের কাছে এসে যেতেন পারতেন, আমরা ভিন্ন পথ খুঁজতাম।কিন্তু নিজেও আসেননি ছেলের পক্ষকেও আনতে পারেননি।
গ্রামবাসী একটা দাবী সঠিক বিচার চান ।