সোমবার থেকে দেশে শুরু হচ্ছে চতুর্থ দফা লকডাউন। তার ঠিক আগে তৃতীয় দফা লকডাউনের শেষদিন সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ চ্যাটে আড্ডা জমেছিল দেশের দুই অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ও বিরাট কোহলির। বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও জন্মসূত্রে দু’জনেরই বেড়ে ওঠা নয়াদিল্লিতে। স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লির প্রতি বাড়তি টান রয়েছে দেশের দুই অধিনায়কেরই। তাই স্মৃতির সরণি বেয়ে চ্যাট সেশনে ছেলেবেলার দিনগুলোয় ফিরে-ফিরে যাচ্ছিলেন দু’জনে।
এছাড়া খেলা কিংবা খেলার বাইরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রবিবারের সন্ধ্যায় জমাটি আড্ডা চলল দু’জনের। সবকিছুই ঠিক চলছিলো, যতক্ষণ না লাইভ চ্যাট সেশনেই কোহলির মিথ্যা ধরে ফেললেন অনুষ্কা। বাইশ গজে যেমন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে কোহলির ব্যাটিং দেখতে হাজির হয়ে যান অনুষ্কা। বিদেশেও মিসেস কোহলির সিনেমার শুটিং চলাকালীন অনেক ক্ষেত্রে সঙ্গী হয়েছেন মিস্টার কোহলি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনুষ্কার শুটিং দেখতে গিয়ে নাকি কিছু সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়তেন কোহলি। রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে এসে কোহলিকে এদিন সেই বিষয়ে চেপে ধরেন ছেত্রী।
লাইভ চ্যাটে লন্ডনে অনুষ্কার শুটিং দেখতে গিয়ে কোহলির হোটেলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। কিন্তু কোহলি জেটল্যাগের দোহাই দিয়ে বিষয়টি নিজের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করতেই কোহলিকে ‘ঝুটা’ বলে সম্বোধন করেন অনুষ্কা। আর বলি অভিনেত্রীর কথা শুনে হেসে লুটিয়ে পড়েন ছেত্রী। বেঙ্গালুরু এফসি তারকা তখন কোহলিকে বলেন, ‘উনি তোমার জন্য পাঁচদিন ধরে টেস্ট ম্যাচ দেখতে পারেন আর তুমি পাঁচ মিনিট শুটিং দেখে ঘুমিয়ে পড়লে?’
এখানেই শেষ নয়। লন্ডনের মতোই প্রাগেও নাকি একবার এমন কান্ড ঘটিয়েছিলেন কোহলি। ছেত্রী পুনরায় তাঁকে আক্রমণ করলে দেশের ক্রিকেট অধিনায়ক তখন সাহায্য নেন খোদ অনুষ্কার। তিনি অনুষ্কাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘প্রাগে আমি কবে এমনটা করলাম?’ জবাবে দ্বিতীয়বারেও অনুষ্কার সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হন বিরাট। ফের হাসিতে লুটিয়ে পড়েন ছেত্রী। সবমিলিয়ে দুই অধিনায়কের মজাদার সেই চ্যাট সেশনের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল। গোটা বিষয়টি দারুণ মনে ধরেছে দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের।
নির্বাহী সম্পাদক