শুক্রবার ১৫মে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে ৩জন আক্রান্তের খবর প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেলেও মূলতঃ সেখানে ২জন রোহিঙ্গা শরনার্থী (Forcibly displaced myanmar Nations-বলপূবর্ক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক)। ১জন এদেশের নাগরিক ও ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মকর্তা।
যিনি এদেশের নাগরিক তিনি উখিয়া উপজেলার গয়ালমারা ক্যাম্প অবস্থিত এমএসএফ এর হাসপাতাল থেকে তার শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করতে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠিয়েছিলেন। এজন্য তাকে রোহিঙ্গা শরনার্থী হিসাবে প্রাথমিকভাবে গণ্য করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ থেকে রিপোর্ট প্রদান করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি একজন মহিলা, ‘ইফসা’ নামক একটি এনজিও-র কর্মকর্তা। তিনি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশেই একটি ভাড়াবাসাতে থাকেন বলে জানা গেছে। কক্সবাজার জেলায় এই প্রথম ক্যাম্পে কর্মরত একজন এনজিও কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
অন্যদিকে, কক্সবাজার আরআরআরসি অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া জানান, ২জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর একজন উখিয়ার লম্বাশিয়া ২নম্বর ক্যাম্পের পশ্চিম ব্লকের রেজিস্ট্রাড রোহিঙ্গা শরনার্থী। আইওএম এর হাসপাতালের মাধ্যমে তার শরীরের স্যাম্পল টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছিলো। তাকে ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প থেকে সরিয়ে আইসোলেটেড করে রাখা হয়েছে বলে জানান, ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া।
আর একজন রোহিঙ্গা শরনার্থী হচ্ছে, একজন মহিলা। কুতুপালং ৫নম্বর ক্যাম্পের আইওএম এর হাসপাতালের মাধ্যমে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে স্যাম্পল টেস্ট করতে পাঠিয়েছিলো। এনিয়ে, গত ২দিনে ৩জন রোহিঙ্গা শরনার্থী (Forcibly displaced myanmar Nations-বলপূবর্ক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলো। যা সংশ্লিষ্ট সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
নির্বাহী সম্পাদক