Home » রংপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র ভাংচুর করল রোগীর স্বজনরা

রংপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র ভাংচুর করল রোগীর স্বজনরা

রংপুরের তারাগঞ্জে চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র ভাংচুর করেছেন রোগীর বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্ব অবহেলার প্রতিবাদে কমপ্লেক্স চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনাটি ঘটেছে।এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকটি কক্ষের জানালাসহ বেশি কিছু আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন কর্তৃপক্ষ। তবে ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে এখনো আইনি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের নুরুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম লিমন (১৭) তার সহপাঠিদের সাথে ক্রিকেট খেলছিলেন। ওই সময় তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে বাকবিতন্ডা বাধে। এক পর্যায়ে লিমন সেখানে আঘাতপ্রাপ্ত হলে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তার স্বজনেরা লিমনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন রোগীর স্বজনরা।

এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়িতে করে লিমনকে রংপুরে নেয়ার পথে করোনার নমুনা পৌঁছে দেয়ার জন্য গাড়ির চালককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেকে নেয়া হয়। একারণে আরও ক্ষুদ্ধ হন রোগীর স্বজনরা। তারা ভোগান্তরি অভিযোগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন লিমনের বাবা নুরুল হোসেন। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময় মাঝপথে গাড়িটি ফিরিয়ে নিয়ে আসার কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।

এদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাজী ফিদা তাসকিয়া নোভা জানান, রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করতে বলা হয়।

অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, করোনা টেস্টিং নমুনা নিয়ে রোগীর স্বজন ও আমার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ভ্রান্ত ধারনা হতে এমনটা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *