জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সার্বিক দিক বিবেচনায় আগামী ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি, ঈদুল ফিতরের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’ বুধবার (১৩ মে) বিকালে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, ‘ছুটি চলাকালে কোনো গণপরিবহন চলবে না। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলের জেলা অবস্থান করতে হবে। এসব উল্লেখ করে শিগগির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ষষ্ঠ দফায় ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলছে। সপ্তম দফায় এই ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত লম্বা হচ্ছে। এর আগে পঞ্চম দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ও সাপ্তাহিক ছুটি বাড়ায় সরকার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় ছুটি ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। তৃতীয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি লম্বা করা হয়। পরে আরও ১০দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়। আবারও ১০ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ছুটির মধ্যেও রপ্তানি পোশাক শিল্প কারখানাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও বিভাগগুলো সীমিতকারে খোলা আছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় কিছু কিছু দোকানপাটও খুলেছে। যদিও বড় বড় শপিংমল ও মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
বার্তা বিভাগ প্রধান