সিলেট জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে গত ১১ মে ঘটে যাওয়া ‘পাঠাকাণ্ড’ ও আওয়ামী লীগের এক নেতা নিয়ে ৩ দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছিলো তোলপাড়। তবে এবার সিলেট প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তা (ডিএলও) কাজী আশরাফ নিয়ে ফেসবুক সরগরম।
ওই কর্মকর্তার ফেসবুক আইডিতে দেখা গেছে, সরকারবিরোধী পোস্টে তার ফেসবুক ওয়াল সয়লাব। যেগুলো তিনি নিজে আপলোড না করলেও বা না লিখলেও অন্যজনেরটা সোৎসাহে শেয়ার করেছেন। একজন সরকারি চাকরিজিবী হয়ে, সরকারের দেয়া বেতন-ভাতায় জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে কীভাবে তিনি সরকারবিরোধী পোস্টগুলো নির্দ্বিধায় শেয়ার করেন বা তাতে লাইক-কমেন্ট করেন তা নিয়ে চলছে অনলাই-অফলাইনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, Kazi Ashraf babu নামে সিলেট জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশারাফের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি রয়েছে। তার ব্যক্তিগত এই আইডির ওয়ালজুড়ে রয়েছে সরকারবিরোধী অসংখ্য পোস্ট। পোস্টগুলো কাজী আশরাফের নিজে আপলোড না করলেও অন্যজনেরটা নির্দ্বিধায় শেয়ার করেছেন। যা থেকে তিনি চরম সরকারবিরোধী বলে প্রতিয়মান হয়- এমনটাই মন্তব্য সচেতন ব্যক্তিবর্গ ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের।
এছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালোদা জিয়ার কট্টর সমর্থকদের শেয়ার করা আওয়ামী সরকারের সমালোচনার একাধিক পোস্ট আর সংবাদ শেয়ার করেছেন কাজী আশরাফ তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে।
কাজী আশরাফের টাইম লাইন ঘুরে আরও দেখা গেছে- ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেট-১ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মোহিত নগরীতে একটি মন্দিরের উদ্বোধন করেন। সে অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। সেই উদ্বোধনী ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ব্যাঙ্গাত্বক মন্তব্য করেছেন হাতেম আলী নামের জনৈক ব্যক্তি। সেখানে লেখা হয়- ‘ইতিহাসের সেরা জোকস। উদ্বোধন হলো মন্দিরের আর দোয়া করছেন কার কাছে !!!’। এই লেখাটিও শেয়ার করেছেন সরকারি কর্মকর্তা কাজী আশরাফ।
এদিকে, গত দুই দিন থেকে তাকে নিয়ে ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে শেয়ার করা সরকারবিরোধী পোস্টগুলো তিনি সরিয়ে ফেলেছেন বলে অনেকের অভিযোগ। তবে অনেকেই ডিলেট করার আগে সেগুলোর স্ক্রিনশর্ট নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে বুধবার (১৩ মে) দুপুরে কাজী আশরাফের মোবাইল ফোনে দিলে Kazi Ashraf babu নামক আইডি-টি তারই স্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বেশি কথা বলতে পারছি না, একটু ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলবো।কিন্তু পরে একাধিকবার কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বার্তা বিভাগ প্রধান