শাহেদ মিজান: উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে ঘটনায় ৩১২টি ঝুপড়ি ঘর ও ৩৭টি দোকান পুড়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রান্নার গ্যাসের চুলা থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (১২ মে) সকাল ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে সংঘটিত এই অগ্নিকান্ডে বিশাল অংকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি আলী হোসেন জানান, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রন আনেন। এতে অগ্নিকান্ডের পুড়ে গেছে রোহিঙ্গাদের ৩১২টি ঝুঁপটি ঘর। এরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসে আছে। একই সাথে ৩৭টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে দোকানীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে।
জানা গেছে, প্রতিটি বাড়ীতে গ্যাসের সিল্ডিটার রয়েছে। অধিকাংশ রোহিঙ্গারা এর ব্যবহার বিধি জানে না। সে কারণে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে প্রতিনিয়ত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনাও রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাস্টার এমদাদুল হক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখনো পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাত জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান।
নির্বাহী সম্পাদক