সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই/বিমল চন্দ্র দে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ০৮-০৫-২০২০খ্রিঃ তারিখ ২২.০০ ঘটিকায় ডিএমপি ঢাকা, এর কদমতলী থানা এলাকা হইতে একজন ভিকটিম কে উদ্ধার করা হয় এবং ভিকটিমের অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি হলো: ১। সেবলু মিয়া তালুকদার (৩০) পিতা- মোক্তার মিয়া তালুকদার কালা মিয়া, গ্রাম- রাঙ্গাপুর, থানা- ওসমানীনগর, জেলা- সিলেট বর্তমান: সাং- বোয়ালজুড় বাজার, থানা- বালাগঞ্জ, জেলা-সিলেট।
উল্লেখ্য যে গত ১১-০৩-২০২০খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় অত্র থানাধীণ মিরাবাজার শাহজালাল জামেয়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনে হইতে ১৪ বছরের একজন মেয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করা হয়। বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে “ভিকটিমের বাবা বাদী হইয়া এজাহার দায়ের করিলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৩৪ তারিখ-১৫-০৩-২০২০খ্রিঃ ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০ রুজু করা হয়।
ঘটনার পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সেলিম মিঞার দিক নির্দেশনায় সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই/ বিমল চন্দ্র দে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। আসামী চতুর প্রকৃতির হওয়ায় এবং আসামী প্রায়ই সময় স্থান পরিবর্তন করার কারণে বারবার অভিযান পরিচালনা করিয়াও আসামীকে গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার সম্ভব হচ্ছিল না। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমকে ঢাকা কদমতলী থেকে উদ্ধার করা হয় এবং আসামী গ্রেফতার করা হয় হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী সেবুল মিয়া ভিকটিমের বাবার গাড়ীর ড্রাইভার ছিল। গাড়ীর ড্রাইভার হওয়ার কারনে আসামীর ধারনা ছিল ভিকটিমকে অপহরণ করে ফুসলিয়ে বিয়ে করলে সে সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে এবং তার বিদেশ যাওয়ার পথ সুগম হবে।
অদ্য ০৯-০৫-২০২০খ্রিঃ গ্রেফতারকৃত আসামীকে বর্ণিত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইয়াছে এবং ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।