শুক্রবার (৮ মে) নগরভবনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আহবানে সিলেটের সকল ব্যবসায়ীরা এক বৈঠকে মিলিত হন। এতে সকল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সিলেটের জনগণের স্বার্থে আসন্ন ঈদে তার দোকান বন্ধ রাখবেন। তাদের মতামত, সিলেটের জনগণকে আগে করোনা থেকে বাঁচাতে হবে। সিলেট নগরীর সকল ব্যবসায়ীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে ও মানুষের কথা চিন্তা করে হাসান মার্কেট পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে সিলেট নগরীর সকল দোকানপাট (নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যতিত ) বন্ধ থাকছে ঈদের আগ পর্যন্ত।
কিন্তু আজ শনিবার (৯ মে) সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বারুতখানা, নাইওরপুল, এবং উপশহরের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানের ও টেইলার্স খোলা । করোনা ভাইরাস এর কথা চিন্তা করে সিলেটের ব্যবসায়ীরা আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।এদিকে কিছু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চালিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে ।
একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভেতরে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানান যে ব্যবসার জন্য নয় দোকান অনেক দিন বন্ধ থাকার কারণে দোকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন ।
উপশহর এলাকায় একটি টেইলার্স গিয়ে কথা বলে জানা যায় বাসায় গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে আসেন এবং কাপড় সেলাই করে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয় । এইভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যবসা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে দেশের সকল দোকানপাট (নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যতিত ) বন্ধ রয়েছে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। গেল সপ্তাহে সরকার ঘোষণা দিয়েছে রবিবার থেকে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য দোকানপাট, শপিংমল খোলা রাখা যাবে। কিন্তু সিলেট নগরীর সকল ব্যবসায়ীরা জনগণের কথা চিন্তা করে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান