যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে অলসতা করে তাকে ১৫ ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে।
তার মধ্য থেকে পাঁচ ধরনের শাস্তি দুনিয়াতে। তিন ধরনের শাস্তি মৃত্যুর সময়। তিন ধরনের শাস্তি কবরে। তিন ধরনের শাস্তি কবর থেকে উঠানোর পর। দুনিয়াতে যে পাঁচ ধরনের শাস্তি হবে তা হলো:-
১/তার জীবনের বরকত ছিনিয়ে নেওয়া হবে।
২/ তার চেহারা থেকে নেককারদের নূর দূর করে দেওয়া হবে।
৩/ তার নেক কাজের কোনো বদলা দেওয়া হবে না।
৪/ তার কোনো দোয়া কবুল হবে না।
৫/ নেক বান্দাদের দোয়ার মধ্যে তার কোনো হক থাকবে না।
মৃত্যুর সময় যে তিন ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে :-
১/ জিল্লতি ও অপমানের সঙ্গে সে মৃত্যুবরণ করবে।
২/ক্ষুধার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে। ৩/ এমন পিপাসার্ত অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করবে যে, সমুদ্র পরিমাণ পানি পান করালেও তার পিপাসা মিটবে না।
কবরে যে চার ধরনের শাস্তি হবে :-
১/ কবর তার জন্য এমন সংকীর্ণ হবে যে, এক পাশের বুকের হাড় আরেক পাশে ঢুকে যাবে।
২/তার কবরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে।
৩/ তার কবরে এমন একটি সাপ নিযুক্ত করে দেওয়া হবে, যার চক্ষু আগুনের আর নখগুলো হবে লোহার, তার প্রত্যেকটি নখ লম্বা হবে একদিনের দূরত্বের পথ। তার আওয়াজ হবে বজ্রের আওয়াজের মতো বিকট। সাপ ওই বেনামাজিকে বলতে থাকবে, আমাকে আমার রব তোর ওপর নিযুক্ত করেছেন যাতে ফজরের নামাজ নষ্ট করার কারণে সূর্যোদয় পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। জোহরের নামাজ নষ্ট করার কারণে আসর পর্যন্ত দংশন করতে থাকি। আসর নামাজ নষ্ট করার কারণে মাগরিব পর্যন্ত আর মাগরিবের নামাজ নষ্ট করার কারণে এশা পর্যন্ত, আর এশার নামাজ নষ্ট করার কারণে ফজর পর্যন্ত তোকে দংশন করতে থাকি। এই সাপ যখনই তাকে দংশন করবে তখনই সে ৭০ হাত মাটির নিচে ঢুকে যাবে (উঠিয়ে আবার দংশন করবে) এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত এই সাপ তাকে আজাব দিতে থাকবে।
কবর থেকে উঠানোর পর বেনামাজিকে যে চার ধরনের আজাব দেওয়া হবে :-
১/তার হিসাব খুব কঠিনভাবে নেওয়া হবে।
২/আল্লাহতায়ালা তার ওপর রাগান্বিত হয়ে থাকবেন।
৩/তাকে জাহান্নামে ঢুকানো হবে।
৪/ তার চেহারায় তিনটি লাইন লেখা থাকবে- ১. হে আল্লাহর হক নষ্টকারী! ২. হে আল্লাহর গোস্বায় পতিত ব্যক্তি! ৩. তুই দুনিয়াতে যেমন আল্লাহর হক নষ্ট করেছিস তেমনি আজ আল্লাহর রহমত থেকে তুই নিরাশ হয়ে যাবি।
অাল্লাহ অামাদের সবাইকে এহতেমামের সহীত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন।