আতঙ্কের আরেক নাম করোনা। গোটা বিশ্ব লড়ছে এর সাথে। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা চেষ্টা করছেন যাতে ভ্যাকসিন তৈরি করে একে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু এরই মধ্যে ভয়ের খবর শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। হু জানিয়েছে করোনার ভ্যাকসিন কোনওদিন নাও বেরোতে পারে। এমন তথ্য দিচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডঃ ডেভিড নাবারো।
সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে নাবারো বলেছেন করোনা এমন এক ভাইরাস, যার ভ্যাকসিম না বেরোনোর আশঙ্কা রয়েছে। করোনা নিয়ে হু-র তৈরি করা বিশেষ প্রতিনিধি দলের সদস্য নাবারো জানান, বিশ্বে এমন অনেক ভাইরাস রয়েছে, যার ভ্যাকসিন বানানো সম্ভব হয়নি। তাই করোনার ভ্যাকসিন যে তৈরি হবেই, একথা জোর দিয়ে বলা যায় না। যতক্ষণ না করোনা প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিনটি সবধরণের পরীক্ষা ও সতর্কতামূলক বিধি উতরে যাচ্ছে, ততক্ষণ সেটি ব্যবহারের যোগ্য নয় বলেই মনে করা হবে বলে জানান নাবারো।
এই সাক্ষাতকারের পরে সিএনএনের রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য বলছে করোনার ভ্যাকসিন নাও বেরোতে পারে। তাই এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন করোনা ভ্যাকসিন আমেরিকা হাতে পাবে এবছরের মধ্যেই। ওয়াশিংটন ডিসির লিংকন মেমোরিয়ালে ফক্স নিউজের “টাউন হল” নামক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন এ বছরের শেষের মধ্যে আমেরিকার যাতে চলে আসবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্য কোনও দেশের বিজ্ঞানীরা যদি করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কার করেন, তাতেও কোনও অসুবিধা নেই, তাও তিনি স্বাগত জানাবেন। শুধু তিনি এমন ভ্যাকসিন চান, যা কিনা কাজ করবে। ঠেকিয়ে দেবে মারণ করোনাকে। এরই মধ্যে মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেন করোনা রুখতে ভূমিকা নিতে পারে ইবোলার ড্রাগ রেমেডিসিভির। যদিও এই ড্রাগ ইবোলা আক্রান্ত রোগীদের ওপর তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
তবে তাঁরা এখন জানাচ্ছেন, ইবোলার ক্ষেত্রে এই ওষুধ তেমনভাবে সাহায্যে না এলেও মারণ করোনা রুখতে এই ওষুধ বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রমাণ তাঁরা পাননি বলেই জানা গিয়েছে। এমনকি কারোর উপর পরীক্ষাও করা হয়নি। করোনার সংক্রমণ রুখতে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। এটি আসলে ম্যালেরিয়ার ওষুধ। শুধু বিশ্বই নয়, হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন কাজে আসতে পারে বলে মনে করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর।কলকাতা২৪
নির্বাহী সম্পাদক