Home » নিজ হাতে মাস্ক তৈরী করে বিতরণ করলেন ৫ শ্রেণীর ছাত্রী নাঈমা আলম নিফা

নিজ হাতে মাস্ক তৈরী করে বিতরণ করলেন ৫ শ্রেণীর ছাত্রী নাঈমা আলম নিফা

রাজারহাট কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ- কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মহামারি করোনা ভাইরাসে সাধারণ ছুটির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী সেলাই মেশিনের মাধ্যমে নিজ হাতে মাস্ক তৈরী করে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছেন।
জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার শান্তিনগর এলাকায় আলহাজ্ব বুলু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকেন মোঃ নছিয়ত উল্ল্যা সিদ্দিকীর পুত্র মো: নুর আলম সিদ্দকী (৫০)। তার একমাত্র ছোট মেয়ে মোছাঃ নাঈমা আলম নিফা রাজারহাট মডেল মাদরাসার ৫ শ্রেণীর ছাত্রী, বড় ছেলে তানভীর শাকিব রনি এই নিয়ে তাদের পরিবার। তিনি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে অতি সামান্য বেতনে চাকুরী করেন। নাঈমা আলম নিফা গত ৬ মাস আগে তার বাবার কাছ থেকে একটি সেলাই মেশিন কিনে নিয়ে কাজ শিখেন। এরপর করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর কারণে যখন গরীব অসহায় মানুষজন মাস্ক কিনতে পারছিলেন না। তখন নাঈম আলম নিফা নিজেই মাস্ক তৈরী করে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। নাঈমা আলম নিপার এই উদ্যোগ দেখে তার বাবা ও বড় ভাই তানভীর শাকিব রনিসহ সহ-পরিবার সেলাই মিশেনর মাধ্যমে মাস্ক তৈরী করে উপজেলার দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। করোনার এই মহামারীতে বাবা- মেয়ে মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মাস্ক তৈরী করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
নাঈমা আলম নিফার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন ,মহামারি করোনার ভাইরাসের কারণে আমাদের সকলকেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমাদের উপজেলায় অনেক মানুষের মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই। তাই আমি পড়াশুনার পাশাপাশি বাসায় সেলাই মেশিনের মাধ্যমে মাস্ক তৈরী করে যারা গরীব অসহায় তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করি।
তার বাবা নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, আমি ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সে চাকুরী করি। আমার মেয়ের এই মহৎ উদ্যোগ দেখে আমার অফিস বন্ধ থাকায় আমি মেয়ের মাস্ক তৈরী করা দেখে আমিও মাস্ক তৈরী করা শিখি। পরে বাসায় সময় কাটানোর জন্য ছেলে -মেয়েসহ মাস্ক তৈরী করে দুস্থ অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়। বিশেষ করে আমার মেয়ে মোছাঃ নাঈম আলম নিফার মাস্ক তৈরী করে বিতরণ করার উদ্যোগ দেখে এলাকাবাসী অনেক খুশি।
পরিশেষে নিফা বলেন,মহামারি করোনা ভাইরাস কোভিড -১৯ যতদিন থাকবে আমার মাস্ক তৈরী করে বিতরণ করা ততদিন অব্যাহত থাকবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *