করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাছ চাষী, ক্রেতা, বিক্রেতার সুবিধার্থে অনলাইনে মাছ বাজারজাতের নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে মাছ বিতরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে ঢাকা, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও রংপুরের মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়মিত বাজার ব্যবস্থায় প্রতিরোধপূর্বক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাছ চাষী, ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ক্রেতারা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে জনাকীর্ণ বাজারে যেতে চাচ্ছেন না। এতে মাছ চাষীরা উৎপাদিত মাছ বিক্রি করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এ অবস্থায় কিছু উদ্যোক্তাকে মোটিভেশনের মাধ্যমে অনলাইনে মাছ বেচাকেনার ব্যবস্থা নিতে পারলে মাছ চাষী, ক্রেতা-বিক্রেতা ও সর্বোপরি সাধারণ মানুষ লাভবান হবে।
চিঠিতে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে অনলাইনে ‘কালিগঞ্জ ফ্রেশ অ্যান্ড ফিস মার্কেট’ ব্যবস্থার মাধ্যমে মাছ বাজারজাতকরণের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।
অধিদপ্তরের চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের প্রত্যেক এলাকায় কিছু বিত্তশালী মানুষ এ বিশেষ পরিস্থিতিতে মানবিক দৃষ্টিতে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করছেন। ত্রাণ বিতরণ উপকরণের সঙ্গে কার্প জাতীয় মাছ বিতরণের ব্যবস্থা করতে পারলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের আমিষ ও পুষ্টির অভাব দূর করাসহ মাছ চাষীদের মাছ বিক্রির সুব্যবস্থা করা যায়।
কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এলাকার ত্রাণ সামগ্রীর সঙ্গে মাছ বিতরণের পন্থা অবলম্বনের উদাহরণ চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে।
উপপরিচালকদের উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অধীনস্থ জেলার উপজেলাগুলোতে অনলাইন মাছ বাজারজাতকরণ ও ত্রাণসামগ্রীর সঙ্গে মাছ বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্বাহী সম্পাদক