সিলেট বিভাগ থেকে ১ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল ঢাকায়। গত ২৪, ২৫,২৬ ও ২৭ মার্চের সংগৃহীত নমুনা ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি এন্ড রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য নমুনাজট থাকায় এগুলো পাঠানো হয়েছিল ঢাকায়।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার ল্যাবরেটরি থেকে জানানো হয়েছে, সিলেট বিভাগ থেকে পাঠানো নমুনাগুলোর মধ্যে ৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিলেট বিভাগের ৭৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস চূড়ান্তভাবে ধরা পড়লেও জানেনা খোদ আক্রান্তরা। করোনায় আক্রান্ত কি-না সেটি জানতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো দু’একদিন।
আক্রান্ত ৯৯ জনের মধ্যে ২১ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে সিলেটের সংশ্লিষ্টরা। এরমধ্যে হবিগঞ্জের ১২ জন, মৌলভীবাজারের ৫ জন ও সুনামগঞ্জের ৪ জন রয়েছেন। বাকি ৭৮ জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, আগামীকাল রবিবার এই ৭৮ জনের পরিচয় চূড়ান্ত করা হবে। যদি সম্ভব না হয় তাহলে সোমবার পরিচয় চূড়ান্তের কাজ শেষ হবে।
জানা গেছে, যে উপজেলা কিংবা যেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় প্রতিটি টিউবে একেকটি নাম্বার দেয়া হয়। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য যে ল্যাব পাঠানো হয় ওই ল্যাব তাদেরে নিজস্ব আরেকটি নাম্বার বসায় টিউবে।
প্রতিটি টিউবে কয়েকটি নাম্বার হওয়ায় সিলেট বিভাগের অবশিষ্ট ৭৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে কিছুটা সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিস।তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে আসা ৯৯ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়লেও ২১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছি আমরা। বাকি ৭৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাব কাজ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৩০ জন বলে জানা গেছে।
বার্তা বিভাগ প্রধান