অবশেষে মেনিসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাই সত্য হলো। দেশের পর্যটন নগর কক্সবাজারের টেকনাফে দেখা মিলেছে পঙ্গপাল। কীটবিজ্ঞানীরা জানালেন, এটি মিয়ানমার বা ভারত থেকে আসতে পারে। এখনই দমানো না গেলে দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে দেশজুড়ে ফসলের খেতে তান্ডব চালাবে। কক্সবাজারের টেকনাফে কৃষক সোহেলের বাগানে প্রথম পঙ্গপালের দেখা মেলে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, দেখতে পঙ্গপালের মতো হলেও এরা পঙ্গপাল নয়। কিন্তু শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ছবি দেখে নিশ্চিত করেন টেকনাফে দেখা পাওয়া পোকাই পঙ্গপাল হতে পারে। দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে এরা পাল তৈরি করে হানা দেবে দেশের নানা প্রান্তে, এদের এখই দমন করা না গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। তিনি আরও জানান, পঙ্গপাল মিয়ানমার বা ভারতের মণিপুর থেকে আসতে পারে। পঙ্গপাল দমনে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আবদুল মুঈদ বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে টেকনাফের ছোট একটি জায়গায় কিছু কিছু বনজ গাছের ওপর তারা অবস্থান করে পাতা খাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা স্প্রে করেছি তাতে নকডাউন ইফেক্টে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যদি কিছু অবশিষ্ট থাকে তাহলে আমাদের টিম যাচ্ছে, আশা করছি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’
সৌজন্যে : বিডি-প্রতিদিন
বার্তা বিভাগ প্রধান