করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী থানার এক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। তার নাম জসিম উদ্দিন, তিনি ওয়ারি পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে মারা যান। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তার করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
ওয়ারি জোনের সহকারী কমিশনার হান্নানুল ইসলাম জানান, ফকিরাপুলের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন জসিম উদ্দিন। গত তিনদিন ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তার টেস্ট করানো হয়। বুধবার সকালে রেজাল্ট এসেছে। টেস্টের রেজাল্ট হাতে আসার আগেই গতকাল রাতে তিনি মারা গেছেন। শ্বাস কষ্ট, জ্বরসহ অন্যান্য উপসর্গ ছিল তার।
জসিম উদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। তিনি পুলিশের ওয়ারি বিভাগের ব্যারাকে থাকতেন। করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাকে ফকিরাপুলের আল সালাম হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ওয়ারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুবেল মল্লিক এই তথ্য জানান।
কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে পুলিশ সদর দফতর। বুধবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শোক জানানো হয়। পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ের প্রধান সম্মুখ যোদ্ধা পুলিশের এক গর্বিত সদস্য কনস্টেবল মো. জসিম উদ্দিন (৪০) করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে জসিম উদ্দিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশ গভীরভাবে শোকাহত। একই সঙ্গে দেশমাতৃকার সেবায় তার এমন আত্মত্যাগে পুলিশ গর্বিত। তাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে এগিয়ে যাবে পুলিশ।
উল্লেখ্য, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩শ’ ছাড়িয়েছে। সোমবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৬-এ। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন এমন সংখ্যাই বেশি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশ হাসপাতাল বলছে, আক্রান্তদের ৮০ ভাগ মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে চলমান লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়েই তারা আক্রান্ত হয়েছেন।
বার্তা বিভাগ প্রধান