অমরাবতী: সামাজিক দূরত্বকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চেক বিলি করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক বিধায়ক। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়ক সাঁই প্রসাদ রেড্ডি মহিলাদের একটি চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যেখানে ওয়াইএসআর জিরো ইনটারেস্ট লোন স্কিমের আওতায় চেক বিলি চলছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর মানুষ চেক সংগ্রহ করতে জমা হন।
লকডাউনের মাঝেই এই ধরণের জমায়েত করায় রীতিমত বিতর্কের মুখে পড়েছেন শাসক দলের ওই বিধায়ক। কোনও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বেশ কয়েকজন মহিলাকে একসাথে চেক হাতে ছবি তুলতে দেখা যায়।
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি শুক্রবার ডিডাব্লুএসিআরএ-র স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির (এসএইচজি) জন্য ওয়াইএসআর জিরো ইনটারেস্ট লোন স্কিম চালু করেন। রাজ্যের ৮.৭৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্টীর ৯১ লক্ষ মহিলা এর আওতায় পড়ছেন। এঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৪০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে।
তবে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও দুই ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিধায়ক অন্ধ্রতে পৃথক দুটি অনুষ্ঠান করেন। তাতেও লকডাউনের পরোয়া কেউ করেননি।
এর আগে ছত্তিশগড়ের মন্ত্রী গাড়ি নিয়ে ২৫০ কিমি পথ পেরিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর গুরুর সঙ্গে। ছত্তিশগড়ের শুল্ক, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী কাওয়াসি লাখমা ঠিক এই কাণ্ডই ঘটিয়ে ছিলেন।
লকডাউনকে উপেক্ষা করে কাওয়াসি চলে গিয়ে ছিলেন ২৫০ কিমি দূরে, নিজের স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বাড়িতে, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। বাবা সত্যনারায়ণ তাঁর গুরু। তাই সেই গুরুর জন্য মন উচাটনে তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন ২৫০ কিমি পথ, অন্য সময় হলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু লকডাউনের নিয়মাবলী একজন মন্ত্রী হয়ে ভাঙলেন কী করে। প্রশ্ন ওঠে।
নির্বাহী সম্পাদক