সিলেটে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয় গেল ৫ এপ্রিল। এরপর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত রোগী ছিল ৭ জন। পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে ২০ এপ্রিল থেকে। ওই দিন একসাথে হবিগঞ্জে সনাক্ত হন ১০ রোগী। হবিগঞ্জই এখন সিলেট বিভাগের ‘হটস্পট’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই হটস্পট ঘিরেই সিলেট বিভাগে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাওয়ার ভয় আর শঙ্কা কাজ করছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে এখনও পর্যন্ত ৭৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১২ জন, সুনামগঞ্জে ১৪ জন, মৌলভীবাজারে ৬ জন এবং হবিগঞ্জে ৪৭ জন রোগী রয়েছেন। স্পষ্টত, সিলেট বিভাগে হবিগঞ্জই ‘রেড জোন’ বা ‘হটস্পট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত যেসব এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেশি বা যে এলাকা থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বেশি, সে এলাকাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
তথ্য বলছে, সিলেট বিভাগে গেল ৫ এপ্রিল করোনাক্রান্ত প্রথম রোগী সনাক্ত হন ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। ১৫ এপ্রিল তিনি মারা যান। মঈন উদ্দিন আক্রান্ত হওয়ার পর ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের চার জেলায় করোনা রোগী ছিলেন মাত্র ৭ জন। পরের ৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৭০ জন!
জানা গেছে, ২০ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলায় সনাক্ত হন ১০ জন। পরদিন আরো দুই আক্রান্ত ব্যক্তি সনাক্ত হন হবিগঞ্জের লাখাই ও আজমিরীগঞ্জে।
গেল ২২ এপ্রিল সিলেটে ১৩ জন রোগী সনাক্ত হন। তন্মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার ৫ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জের ৪ জন, সিলেট ও মৌলভীবাজারের ২ জন করে। গত ২৩ এপ্রিল সিলেট বিভাগে একদিনে ১৬ জন করোনাক্রান্ত রোগী ধরা পড়েন। তন্মধ্যে সিলেটের ৫ জন, সুনামগঞ্জের ৮ জন ও হবিগঞ্জের ৩ জন রয়েছেন। গত ২৪ এপ্রিল রোগী সনাক্ত হন ৮ জন। এর মধ্যে হবিগঞ্জের ৫ জন, মৌলভীবাজারের ২ জন ও সুনামগঞ্জের ১ জন রয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল শনিবার হবিগঞ্জের ২১ জন এবং মৌলভীবাজারের একজন করোনা পজিটিভ হিসেবে সনাক্ত হয়েছেন।
লকডাউনের পর সিলেটের বাইরে থেকে আসা অনেকেই তথ্য লুকোচ্ছে। অনেকেই জানে না যে তিনি নিজে আক্রান্ত। ফলে অবাধে চলাফেরা করছেন। আবার অনেকের মধ্যে এই মানসিকতাও দেখা যাচ্ছে, করোনা হয়েছে তো কি হয়েছে! আমাদের মানসিকতার বদল জরুরি। সতর্ক হতে হবে, নইলে বিপদ।
বার্তা বিভাগ প্রধান