Home » টিসিবি আদা বিক্রি না করাতেই সক্রিয় সিন্ডিকেট

টিসিবি আদা বিক্রি না করাতেই সক্রিয় সিন্ডিকেট

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আদা বিক্রি না করাতেই এবার রমজানে নানা অজুহাতে এ দুইটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সক্রিয় হয়েছে একটি সিন্ডিকেট। এমনটি মনে করছেন সাধারণ ভোক্তারা।

বায়েজিদের শেরশাহ কলোনি বাজারের ক্রেতা দিদারুল আলম জানান, মুদি দোকানে প্রতি কেজি আদার দাম চাওয়া হয়েছে ৩০০ টাকা, রসুন ২৭০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬৫ টাকা।

তার এ বক্তব্য সমর্থন করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, ঢাকার শ্যামবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে আদার মূল্য নিয়ে কারসাজির বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। আমদানি মূল্য যে কেজি প্রতি ১০০ টাকার কম সেটা সবাই জেনেছেন। টিসিবির হাতে যে নিত্যপণ্য নেই সেটি নিয়ে সক্রিয় হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র।

তিনি বলেন, আদা অত্যাবশ্যক কোনো নিত্যপণ্য নয়। ছোলা, মাংস ও চায়ে অল্প পরিমাণে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে। তবুও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, মার্চে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন থেকে আদা এসেছে ৩ হাজার ২৬৭ টন। চলতি এপ্রিলের ২৩ তারিখ পর্যন্ত এসেছে ১ হাজার ৫৯৮ টন। আমদানি অনুমতিপত্র নিয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ টন। বন্দর থেকে নিয়মিত আদা ছাড় হচ্ছে।

তিনি জানান, মার্চে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রসুন এসেছে ৫ হাজার ১৫৮ টন। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত এসেছে আরও ২ হাজার ৩২৯ টন। পাইপ লাইনে আছে ১ হাজার ৩৩৫ টন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বেশিরভাগ আদা আসছে। পাশাপাশি টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে, বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদা আমদানি হয়। মোংলা বন্দরেও কিছু আদা খালাস হয়। সব মিলে আদার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

সূত্র: বাংলানিউজ২৪ডটকম

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *