জার্মানির সরকার গঠন নিয়ে অবশেষে অধীর আগ্রহের অবসান ঘটল। নির্বাচনের ১৬১ দিন পর জোট সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী চার বছরের জন্য চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট ইউনিয়ন পার্টি, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ব্যাভেরিয়া রাজ্যভিত্তিক ছোট দল ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন জোটবদ্ধ হয়ে এই সরকার গঠন করবে।
জার্মানিতে সরকার গঠনের এই দীর্ঘসূত্রতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মানির রাজনীতিতে বেশ অস্থিরতা বিরাজ করছিল। বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দোদুলতা প্রকাশ পাচ্ছিল।
গত ২৪ অক্টোবর জার্মানিতে ১৯তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছিল। এরপর প্রায় রেকর্ড সময় তিন মাস পরে পুনরায় বিগত আট বছরের জোট সরকারের আদলের দলগুলোকে নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি জোট সরকার গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। তারপরও জার্মানির দ্বিতীয় বৃহত্তম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক নেতা ও তরুণ সদস্য পুনরায় জোটবদ্ধ হয়ে সরকারে যাওয়ার বিরোধিতার কারণে দলটির জোটে যাওয়ার প্রশ্নে বিশেষ সম্মেলন আয়োজনের করতে হয়েছিল। জার্মানির ১৬টি রাজ্য থেকে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৬০০ প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ৪২ জন সদস্য বন নগরীতে জোটে যাওয়ার প্রশ্নে বিশেষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। দেশজুড়ে দলটির সব সদস্যের রায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল।
এই দলের প্রায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার নিবন্ধিত সদস্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত জোট সরকারে যাওয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে ভোট দেন। গত শনিবার বার্লিনে দলটির সদর দপ্তর ভিলি ব্যান্ড হাউসে সারা রাত গণনার পর রোববার ফল ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, সরকার গঠনের পক্ষে দলটির ৬৬ শতাংশ সদস্য ভোট দিয়েছেন।
জার্মানির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো দলটির অনেক নেতা ও তরুণ সমর্থকদের ভাষ্য, গত আট বছরের মতো পুনরায় সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি জোটবদ্ধ হয়ে সরকার গঠন করলে দলটির জনপ্রিয়তা আরও কমে যাবে এবং সামাজিক, স্বাস্থ্য ও শরণার্থী খাতে দলটির উদার নীতি খর্ব হবে।
নির্বাহী সম্পাদক