খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদিম ও দুই জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন রমজান মাসে মসজিদে এশা ও তারাবি’র নামাজে অংশ নিতে পারবেন। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা না মানলে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। ইফতার মাহফিলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবি’র নামাজ আদায় করবেন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে রমজান মাসে কোনও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সব জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হছে, শুধু মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমরা মসজিদে নামাজ আদায় করবেন। জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ অনধিক পাঁচ জন এবং জুমার জামাতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। বাইরের মুসল্লি মসজিদে জামাতে অংশ নিতে পারবেন না।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
বার্তা বিভাগ প্রধান