আবদুল মজিদ, চকরিয়া:পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন। তাও চকরিয়ার সীমান্তবর্তী। এ ইউনিয়নের মূল্যবান বনজ সম্পদ, মাটি ও পাথর সম্পদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ইটভাটাও এ ইউনিয়নে। কিন্তু মানুষের জীবন মান অনুন্নত। এরপরও ইউনিয়নের ধুইল্যাছড়ি নামক এলাকাসহ পুরো ফাইতংয়ে যেকোন দূর্যোগকালীন সহায়তার পাশাপাশি দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন নিরহংকার, নির্লোভ, সফল খামারী, জনকল্যাণকর সাদা মনের মানুষ শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ। তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব গোলাম ছোবহান।
“বৈপ্লবিক উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ পরিবর্তন”
স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সরে জমিনে পরিদর্শন করে জানতে পারেন, শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ বিগত ১৫ বছর পূর্বে মহেশখালী উপজেলা থেকে ফাইতং ইউনিয়নের অজপাড়া ধুইল্যাছড়িতে (মহেশখালী পাড়া) এসে বসবাস করেন এবং ওই এলাকার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। বর্তমান সরকারের মাননীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি’র হাত ধরে মাধ্যমে এলাকার নানাবীধ উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণসহ সক্রিয় আওয়ামী রাজনীতিতে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত জাতীয়, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে করেছেন। এর পরবর্তীতে
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ তার (আহসান উল্লাহ) আন্তরিক প্রচেষ্টায় চকরিয়ার বানিয়ারছড়া ঢালা হতে ধুইল্যাছড়ি হয়ে সুতাবাদীর আগা ও ফাইতং সাবেক বাড়ি লাগোয়া সড়ক নির্মিত হয়। তার প্রচেষ্টায় ধুইল্যাছড়িসহ আশপাশ এলাকায় বিদ্যুতায়নের আওতায় আসে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে ওই এলাকায় নিজ প্রচেষ্টায় মোবাইল টাওয়ারও স্থাপন করেন। অন্যদিকে ওই এলাকায় পবিত্র রমজান, ঈদসহ যেকোন দূর্যোগে কোন ধরনের বিনিময় বিহীন, নিঃস্বার্থভাবে অার্থিক দান ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ বর্তমান করোনার মহামারিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সাহায্য বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজনের অপ্রতুল দেয়া হলেও ধুইল্যাছড়ি এলাকায় কোন ধরনের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি। ফলে বরাবরের ন্যায় তিনি গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত নিজস্ব তহবিল থেকে ফাইতং ৪নং ওয়ার্ড ধুইল্যাছড়িসহ ইউনিয়নেরর প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দরিদ্র, খেটে খাওয়া প্রায় ৭০০ পরিবারের মাঝে করোনা ও পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী (ছোলা,চিনি, মুরি,খেজুর, নুডলস, সেমাই চাউল, ডাল, আলুসহ ৪ রকমের কাঁচা সবজি) বিতরণ করেন। রমজান ও ঈদ পর্যন্ত আরো সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন ফাইতং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ।
এছাড়াও তিনি বলেন, করোনার মহামারির পরিস্থিতির কারনে যাদের ঘরে খাবার নেই, লোক লজ্জার কারনে কোন জনপ্রতিনিধি বা দানশীল ব্যক্তির নিকট থেকে ত্রাণ বা আর্থিক সহায়তা নিতে পারছেন না। এ রকম কেউ ফাইতং ইউনিয়নে থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। কথা দিলাম ছবি তো দূরের কথা আপনার পরিবারও জানবেন না। বর্তমানে যে সকল ব্যাগ ভর্তি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ হচ্ছে সেরকম ব্যাগ ভরে নয়। আপনার পরিবারের প্রয়োজনমতো আপনি কিনে নিয়ে যাবেন। আপনার পরিবার মনে করবে প্রতিদিনের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বাজার থেকে নিয়ে এসেছেন। এটি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সামর্থ্যানুযায়ী অসহায়দের কল্যাণের জন্য। দান হবে গোপনে প্রকাশ্যে নয়। মানুষ মানুষের জন্য। আমার প্রথম কাজ মানবতার। ফোন এস,এম,এস/ইমু/ ম্যাসেঞ্জার ০১৮৬৬৩৪৩৪৪৮ যোগাযোগ করলেও পৌছে দেয়ার ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন, অন্যকেও বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।
শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ বলেন, গরিব অসহায়দের মাঝে শুধুমাত্র অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দেয়ার নামই দান নয়, প্রতিটি ভালো কাজই একেকটি দান। সাময়িক পরিস্থিতে যে ব্যক্তি অতি গোপনে দান করবে তার জন্য রয়েছে অনেক বড় নিয়ামত। সে ক্ষেত্রে গোপনীয়তা অবলম্বন করে নিজ সাধ্যানুযায়ী অসহায়দের পাশে থাকার প্রচেষ্টা মাত্র এবং এটি অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে যারা আত্মগোপনে আছেন তাদেরকে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন।
“আলোর প্রদীপ ছড়ানো শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ”
তিনি বিগত ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বিত প্রসারে ও শিক্ষার আলো ছড়াতে ফাইতং ধুইল্যাছড়ি এলাকায় প্রায় ৬০ শতক (দেড় কানি) নিজস্ব সমতল জমি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ছোবহানিয়া নুরুল উলুম মাদরাসা, দিলোয়ারা হেফজখানা ও এতিমখানা। মাদরাসায় বর্তমানে নুরানী বিভাগে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত ও মাদরাসা বিভাগে ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে লেখা পড়া চলছে, এতে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৩৫০ জন এবং হেফজখানা ও এতিমখানায় এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে ২১ জন। সরকারি কোন অনুদান না পেলেও নিজস্ব অর্থায়নেই এসব প্রতিষ্ঠান তিনি পরকালীন কল্যান লাভে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মাদরাসা নতুন করে মসজিদও যুক্ত করা হয়েছে। যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেখানেই নামাজ আদায় করতে পারেন। বর্তমানে ৫তলা বিশিষ্ট মাদরাসা ভবনের কাজ চলছে। তন্মধ্যে তার ব্যক্তিগত ও এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবনের ১ম তলার কাজ সমাপ্তির পথে। ৫তলা পর্যন্ত কাজ শেষ করতে আরো কোটি টাকার উর্ধে প্রয়োজন। তাই তার সর্বোচ্চ সহায়তার পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও তিনি ফাইতং চিওকতলী এলাকায় মদিনাতুল উলুম নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। ফাইতং ৯নং ওয়ার্ডের একটি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ডের ৩টি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফাইতং ইউনিয়নের প্রায় মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। ধুুইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আধুনিকায়নসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। অপরদিকে তার সহায়তা থেকে বাদ পড়েনি কোন সামাজিক সংগঠনও। তিনি দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের বিবাহ অনুষ্ঠান, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে অকাতরে দান ও সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। স্থানীয় জজনসাধারণ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সরকারি কিংবা জনপ্রতিনিধির কোন পদে না থেকেও অকাতরে মানুষের প্রতি যে সহযোগিতা ও ভালবাসা এবং সম্মান দেখিয়ে যাচ্ছেন, তা কোন জনপ্রতিনিধির দ্বারাও সম্ভব হয়নি। মানুষ শুধু বঞ্চিই থেকেছে। তাই আগামীতে জনপ্রিয় সমাজসেবক শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহকে ফাইতং ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বের আসনে আসীন করতে এবং নৌকা প্রতীকে মনোন্নয়ন দিতে মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুুর এমপি’র প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।
“গরুর ফার্ম (খামার) ব্যবসায়ও সফল শেখ এইচ এম আহসান উল্লাহ”
তিনি জানান, বেশ কিছু বিদেশী ব্যবসা করেছি, দেশের মানুষের কল্যানে হজ্জ এজেন্সি খোলেছি, ব্রীক ফিল্ডের (ইটভাটা) ব্যবসা করেছি, কিন্তু সবচেয়ে বেশি সফল হয়েছি গরুর ফার্ম (খামার) করে। যা আর্থিক স্বাভলম্বি বেকার যুবকদের জন্য অনুকরণীয়। তিনি বলেন, বিগত ২বছর পূর্বে ১০টি অষ্টেলিয়া গরু নিয়ে আহসান ডেইরি ফার্ম নামে খামার ব্যবসা শুরু করি। উক্ত ব্যবসায় সফল হতে বেশিদিন সময় লাহেনি। ২বছরের ব্যবধানে তার ৩৫টির অধিক গরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতি গরুর মূল্য সর্বনিন্ম ২লাখ থেকে শুরু করে ৩লাখ, সাড়ে ৩লাখ ও ৪লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এসব গরু থেকে মাসে লাখ লাখ টাকার দুধও বিক্রয় হয়। ফলে তার এ আয়ের উৎস থেকে এতিমখানা,মাদরাসা, মসজিদ ও সামাজিক দান–অনুদান অকাতরে দিতে পারেন বলে জানান। তিনি সমাজের বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য তা অনুকরণীয় ও শিক্ষানীয়। তাকে শতভাগ হালাল মহৎ পেশার এ শিক্ষাটি মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি দিয়েছেন বলে জানান। ফলে তার দৈনন্দিন জীবন যাপনে কোন সমস্যা হচ্ছেনা বলে ঘোষনা দেন।
সর্বোপুরী তিনি আগামীতে মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও জনগনের ভালবাসা নিয়ে জীবনের সর্বোত্তম আকাংখা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে ফাইতং ইউনিয়নকে পার্বত্য বান্দরবনে একটি মডেল,আধুনিক ও সর্বশ্রেণি মানুষ (জাতি-গোষ্ঠীর) এর বাসযোগ্য ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করবেন বলে ঘোষনা দেন।
নির্বাহী সম্পাদক