Home » করোনার ‘আবিষ্কর্তা’ কি মানুষ? জানতে চেয়ে বিশ্ব আদালতে দ্বারস্থ বাঙালি

করোনার ‘আবিষ্কর্তা’ কি মানুষ? জানতে চেয়ে বিশ্ব আদালতে দ্বারস্থ বাঙালি

সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: চিনেই নাকি তৈরি হয়েছে এই করোনা ভাইরাস। উহানের ল্যাবেই এখন নজর বিশ্বের। আমেরিকা বারবার চাপ সৃষ্টি করছে সেই দেশের দিকে। উত্তর স্পষ্ট নয়। তাহলে কীভাবে এল এই ভাইরাস? ভূতে বানালো নাকি বিশ্বে এত পাপ দেখে ভগবান বিশ্বকে একটু পরিস্কার করার জন্য এই ভাইরাস টাইরাস তৈরি করে ফুঁ দিয়ে ছড়িয়ে দিলেন? নানা প্রশ্ন ঘুর ঘুর করছে মানুষের মনে? উত্তর স্পষ্ট হচ্ছে না। সেই উত্তর স্পষ্ট করতে আন্তর্জাতিক আদালতে পিটিশন দিলেন এক ভারতীয় পরিবেশবিদ। সুভাষ দত্ত।

তিনি জানিয়েছেন, ‘একটা মরিয়া চেষ্টা চালালাম। বর্তমানের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অর্থাৎ করোনা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে একটা পিটিশন পাঠালাম। জাস্টিশ ভগবতীকে স্মরণ করার কারণ এই যে ৩৫ বছর আগে উনি জনস্বার্থ মামলার এক নতুন দিক দর্শন করেছিলেন। তুমি কে, কেন আদালতে এসেছো – এসবের পাট চুকিয়ে পোস্টকার্ডে পাঠানো বিষয়ের ওপরও জনস্বার্থ মামলার সূচনা করেছিলেন। হল্যান্ডের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক আদালতে একই পদ্ধতি মেনে যাতে কোরোনা বিষয়ে আমার আবেদনটি গ্রহণ করে শুনানি করা হয় তার আর্জি পেশ করেছি গতকাল।’

পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের আবেদনের বিষয়বস্তু –
১) করোনা ম্যান-মেড না গড-মেড তা আগে নির্ধারন করা দরকার। যদি প্রথমটা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

২) পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আলাদাভাবে এর মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যার ফলে uniformity অর্থাৎ অভিন্নতা থাকছে না। অনেক দেশে লকডাউন জারি হয়েছে অথচ সমস্ত পরিবহন ব্যবস্থা ও ব্যবসায়িক সংস্থাকেও সচল রাখা হয়েছে। কোথাও আবার লকডাউন মানেই লাঠিচার্জ।

৩) লকডাউন সারা বিশ্বেই একটা অর্থনৈতিক বিপর্য্যয় ডেকে আনবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে। এই বিপর্যয়কে মোকাবিলার নামে অনেকেই ব্যবসা ফেঁদে বসতে পারে। কয়েকটি দেশ এবং কিছু ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে ফিউচার ট্রেডিং করে ফেলেছে। কোরোনার বানিজ্যায়ন যেন না হয়, এটা দেখা দরকার।

৪) করোনার মোকাবিলা করতে গিয়ে অন্য সমস্ত অসুখ-বিসুখকে, এমনকি ক্যানসারকেও, সিন্দুকে পুরে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণের জন্য হাসপাতাল বন্ধ, ডাক্তারবাবুরাও আত্মগোপন করেছেন – এমতাবস্থায় বিনা চিকিৎসার কারণে সারা বিশ্বেই গড় আয়ু কমতে বাধ্য। অন্য রোগের চিকিৎসা সচল রাখাটাই এখন জরুরি।

৫) বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীরা চরমভাবে হেনস্থা হচ্ছেন। তাদেরকে নাকি গুলি করে মেরেও ফেলা হচ্ছে। মানবাধিকার অর্থাৎ বেঁচে থাকার অধিকারকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে – যা বন্ধ হওয়াটা জরুরী।

৬) বিভিন্ন দেশ করোনা মোকাবিলার নামে তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে রেখেছে। সরকারী দলের লোকেদের সব কিছুতে ছাড় আর প্রতিপক্ষকে দেওয়া হচ্ছে মার। ত্রাণের নামে কোথাও চলছে দাদাগিরিও

৭) United Nations Organization (UNO) নামে একটি সংস্থা আছে ঠিকই কিন্তু সেখানে বিভিন্ন দেশ ঝগড়াই করে বেশী । আন্তর্জাতিক আদালতই, যার নিরপেক্ষতাও স্বীকৃত, এই বিষয়ে পদক্ষেপ এবং সারা বিশ্বকে রক্ষা করতে পারে। যেহেতু হু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সমস্যার মোকাবিলা করতে ব্যার্থ হয়েছে, তাই বিশ্ব-আদালতই এখন জনগনের ভরসা।

তিনি জানিয়েছেন, ‘বিশ্ব আদালতকে জানিয়েছি যে, আমার পিটিশনের ভিত্তিতে যেন স্বতঃপ্রবৃত্ত বিষয়টির শুনানি করে। কারণ পৃথিবীতে আর কখনও এমন সামগ্রিক জনস্বার্থের বিষয় সামনে আসেনি।’

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *