করোনার এই ভয়াবহ সংকটের মুহূর্তে ঠিক সময়ে ভাড়া দিতে না পারায় শিশুসহ একটি পরিবারকে বাসা থেকে বের করে দিলেন এক বাড়িওয়ালা। শনিবার রাতে ঢাকার কলাবাগানে এ ঘটনা ঘটে। করোনা সংক্রমণে আতঙ্কিত যখন পুরোদেশ তখন মধ্যরাতে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠে মানবিকতা নিয়ে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে রাতভর চেষ্টার পরও পরিবারটির স্থান হয়নি বাসায়। সর্বশেষ বাড্ডায় মায়ের বাসায় ঠাঁই হয় তাদের।
মধ্যরাতে বৃষ্টির মধ্যেই বাসার সামনে কুলসুম, সেলিম দম্পতির আহাজারি। দুই মাসের শিশু তাউসিফসহ তিন সন্তানকে নিয়ে রাস্তায়, মাত্র এক মাসের বকেয়া ভাড়ার জন্য বাসা থেকে বের করে তালা দিয়েছে বাড়িওয়ালা। পুলিশ গণমাধ্যমের বহু চেষ্টার পরও বাসায় প্রবেশ করতে না পেরে কলাবাগান থানায় যায় পরিবারটি।
বাবা সচিবালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া বাসার মালিক শম্পা আক্তার ফোনের ওপাশ থেকে পরিবারটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলেও পুলিশ বলছে সবই মিথ্যা।
শম্পা আক্তার বলেন, আমার আব্বা সচিবালয়ে চাকরি করে। আমার ভাই র্যাবে চাকরি করে। ওদেরকেই জিজ্ঞাসা করেন কেন বের করে দেয়া হয়েছে। ওরা ভাঙচুর করেছে। মারপিট করেছে।
কলাবাগান থানার ওসি (অপারেশন) ঠাকুর দাস ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, তিন সন্তানসহ এক পরিবারকে বের করে দেয়ার ঘটনা সত্য। বাড়ির মালিক শম্পা এর আগেও অনেক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। দেশের এমন সংকটের সময় উনি যা করেছেন সেটি দুঃখজনক।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা বলেছি অন্তত একটা রাত তাদের থাকতে দেন। কিন্তু তারা শোনেনি।
পরে উপায় না পেয়ে বাড্ডায় কুলসুমের মায়ের বাসায় আশ্রয় নেয় পরিবারটি। তারা বলেন, টাকা দাও না হলে বের হয়ে যাও। আমরা এই অবস্থায় উনাদের টাকা দিবো কিভাবে বলেন।
এরই মাঝে মিরপুরে আরেক পরিবারে করোনা রোগী সন্দেহে তাদেরও বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বাড়িওয়ালা। সেই পরিবারের সদস্যরা বলেন, হার্টের সমস্যা এবং কিডনির সমস্যার জন্যে ভর্তি ছিল। এখন বাড়িওয়ালা ঢুকতে দিচ্ছে না।
নির্বাহী সম্পাদক