Home » করোনা থেকে সুস্থ হলেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না : হু

করোনা থেকে সুস্থ হলেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না : হু

নয়াদিল্লি : গবেষকরা বলেছিলেন, করোনাভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তি সুস্থ তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এমন অ্যান্টিবডি তার রক্তেই থেকে যায়। করোনায় থেকে সুস্থ হওয়া কারও রক্তে এমন ধরনের অ্যান্টিবডি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া তারই রক্ত থেকে প্লাজমা বের করে নিতে হবে। এই অ্যান্টিবডি প্লাজমা কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরে ঢুকিয়ে দিলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তিনিও করোনার সঙ্গে আরও জোরালো লড়াই করতে পারবেন। হয়তবা বেঁচেও যাবেন।

তবে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে এমন কোনও প্রমাণিত তথ্য এখনও মেলেনি, যেখানে দেখা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত যেসব ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ একবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে যে দ্বিতীয়বার সেই ব্যক্তি আক্রান্ত হবেন না, তা বলা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এই মর্মেই সতর্ক করছেন গোটা বিশ্বের গবেষক ও চিকিৎসকদের। ইমিউনিটি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠা ব্যক্তি বিশেষে নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।

যদিও ইতালির ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে ছিলেন, করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ও ভয়াবহতা থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা দেখছি। আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেশি ছিল, তা থেকে আমরা একটি সুবিধাও পাচ্ছি। সেটি হচ্ছে, সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যাও বেশি। রক্তদাতাও অনেক পাওয়া যাবে। ফলে প্লাজমা নিয়ে পরীক্ষামূলক চিকিৎসা শুরু হচ্ছে ইতালিতে।
যদিও, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তির রক্তে প্লাজমা দিয়ে যে চিকিৎসার গবেষণা চলছে, তা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দিহান হু। কারণ ব্রিটেন সরকার রক্তের প্লাজমা নিয়ে ৩.৫ মিলিয়ন সেরোলজি পরীক্ষা করিয়েছে। কিন্তু এখনও এই তথ্যের প্রামাণ্য সূত্র মেলেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন ক্যালিফোর্ণিয়ায় ৪ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, যেখানে গোটা মার্কিন মুলুকে মৃত্যুর মিছিল চলছে। সুইস ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি Roche জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির ওপরে অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো হয়েছে, এর ফলাফল মিলবে মে মাসের শুরুতে। তাই আপাতত প্রামাণ্য তথ্য হাতে পেতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই গবেষকদের কাছে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *