Home » রোজার আগেই অকারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

রোজার আগেই অকারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

আর মাত্র কদিন পর পবিত্র মাহে রমজান। রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর কারণ বেশকিছু নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারে রমজান আসতে না আসতেই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবজিসহ প্রায় প্রতিটি পন্যের দাম এখন রীতিমত আগুন। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের সাধারণ মানুষ।

বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে খাওয়া যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

খুটাখালী বাজার সরেজমিনে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির চিত্র। করোনা ও রোজার কারণে এমনটাই হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, রোজার অজুহাতে অনেক বিক্রেতা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। এ কারণে তাঁরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।

বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, লবন, দুধ, বেসন, কাচা মরিচ, টমেটো, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বেশ ঊর্ধ্বমুখি।

চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্য সরবারহ পর্যাপ্ত থাকার পরও দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ক্রেতাদের অভিযোগ সরবরাহ বেশি থাকা সত্বেও লাগামহীন দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

রমজানের প্রয়োজনীয় অন্যতম পণ্য হচ্ছে ছোলা ও খেজুর। জানা যায়, বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৬৮ টাকা। খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা আগে ছিলো ১৫০ টাকা। মুশুরী ডাল (বড়) বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, যা আগে ছিলো ৫৫ টাকা। মুশুরী ডাল (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, যা আগে ছিলো ১০০ টাকা খেসারী ডাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, যা আগে ছিলো ৫৫ টাকা। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়, যা আগে ছিলো ৫৫ টাকা। বাদ পড়েনি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পণ্য লবনও।

এদিকে গুড়া দুধের দাম বেড়ে আকাশচুম্বি। বিভিন্ন কোম্পানির গুড়া দুধ প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। চালের বাজারেও নেই রেহাই। বস্তা প্রতি চাল বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়, যা আগে ছিলো ১৭০০ টাকা। আতপ চালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজি বাজারে এক সাপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচ ৫ টাকা, বেগুন ৫-৮ টাকা, শসা ১০-১৫ টাকা, টমেটো ৫ টাকা, বেসন ১০ টাকা, বাড়তি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
রমজানের আগেই অস্বাভাবিক হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে।

রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এদিকে ফার্মের মুরগি ও ডিমের দাম উঠানামা করছে।
বিক্রেতারা বলছেন রমজানে চাহিদা বেশি থাকায় এগুলোর দাম কিছুটা বাড়ছে।

বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তবে কাচা তরিতরকারীর ক্ষেত্রে কিছুটা মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি তারা অস্বীকার করেননি।
এজন্য বিক্রেতারা দায়ী করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীদের।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজানকে পুঁজি করে কোনো কারণ ছাড়াই ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

জুলকর নাইন নামে একজন ক্রেতা বলেন, রমজান উপলক্ষে সবজির দাম বেড়েছে। বিশেষ করে বাজারে ছোলা, চিনি, আদা, বেগুন, শসা, কাঁচা মরিচের দাম।

খুটাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান বলেন, প্রত্যেক বছরই রমজানের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পায়। এগুলো ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে না আনলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের ও দুঃখের শেষ থাকবে না।
তাই রমজান মাসে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *