কুড়িগ্রামের উলিপুরে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপালনসহ জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন উলিপুর থানার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পুলিশ সদস্য মজিউল ইসলাম। গত ১৫ এপ্রিল ওই ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের উলিপুর-কুড়িগ্রাম পাঁকা রাস্তা সংলগ্ন টুপামারির বিল নামকস্থানে রাতে চায়ের দোকান খোলা রেখে কিছু লোক দলবদ্ধ হয়ে সরকারি নিদের্শ অমান্য করে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় চায়ের দোকান বন্ধ করে তাদেরকে বাড়িতে যেতে বলায় দোকানিসহ উপস্থিত লোকজন ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার চেঁচামেচি করে পুলিশের দিকে তেরে এসে দায়িত্বরত পুলিশের উপর হামলা চালায়।
হামলার শিকার এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার সময় আমরা নিজেদেরকে পুলিশ বলে পরিচয় দিলেও দূর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে লাঠি-সোটা-লোহার রডসহ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের পথরোধ করে সরকারি কাজে বাধা প্রদান এবং ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদান করতে থাকে। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত অন্যান্যরা হামলা চালিয়ে আমাদের পরিহিত সরকারি ইউনিফর্মের কলার ধরে টানাহেছড়াসহ নাজেহাল করে। এ সময় আমরা আত্মচিৎকার করলে আশপাশের কিছু লোক এগিয়ে এসে আমাদেরকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় গত বুধবার পুলিশের ওই কর্মকর্তা বাদি হয়ে নুর ইসলাম মহুরী ও নুরুজ্জামানসহ নামিয় ২৭জন ও অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো কেউ আটক আটক হয়নি বলে জানা গেছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।
নির্বাহী সম্পাদক