সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ইউনিয়নের পুরান কালারুকার পূর্ব উত্তরপাড়ার শমসের আলী ও তার ছেলে ছয়ফুল আহমদ। ছয়ফুল বয়সের দিক দিয়ে শিশু ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে কালারুকা পশ্চিম হাওরে (উনাখাওরি বিল) ধান কাটতে যান শমসের আলী ও ছয়ফুল আহমদ। এ সময় কালবৈশাখীর ঝড়ের সাথে প্রচণ্ড বজ্রপাত হতে থাকে। বজ্রপাতে বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নগরীর জালালাবাদ থানার ওসি অকিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। পরিবার চাইলে ময়নাতদন্ত হবে। অন্যথায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবের সাথে প্রচণ্ড বজ্রপাত। ভয়ঙ্কর এই আগুনের ফুলকি সিলেটজুড়ে একদিনেই কেড়ে নিয়েছে ৭ তাজা প্রাণ।
আজ শনিবার বজ্রপাতে সিলেট বিভাগের সিলেটে ৩ জন, সুনামগঞ্জে ৪ জন এবং হবিগঞ্জে একজন মারা গেছেন।
জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ইউনিয়নের পুরান কালারুকার পূর্ব উত্তরপাড়ার শমসের আলী ও তার ছেলে ছয়ফুল আহমদ। তারা কালারুকা পশ্চিম হাওরে (উনাখাওরি বিল) ধান কাটতে গিয়েছিলেন। বজ্রপাতে বাবা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শনিবার বিকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের দরগাবাহার গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারান ইসলাম উদ্দিন বলাই। তিনি গরু আনতে মাঠে গিয়েছিলেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মারা গেছেন ৪ জন। নিহতরা হলেন- শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের সুরেন্দ্র সরকারের ছেলে শংকর সরকার (২৬), জগন্নাথপুর উপজেলার বাউধরণ গ্রামের শিপন মিয়া (৩২), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের উত্তর গাজীনগর গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ফরিদ মিয়া (৩৫) এবং দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চিনাউরা হাওরে প্রাণ হারান হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার মফিজ উল্লার ছেলে তাপস মিয়া (৩৫)।
বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে শংকর সরকার, নলুয়ার হাওরে ধান কাটার সময় শিপন মিয়া, গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদ মিয়া এবং ধান কাটার সময় তাপস মিয়া বজ্রপাতের কবলে পড়েন।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের অলি ইসলামের ছেলে গরু ব্যবসায়ী লালু মিয়া (৩৯) শনিবার বজ্রপাতে মারা গেছেন। গরু নিয়ে মাঠে গিয়েছিলেন তিনি।
নির্বাহী সম্পাদক