Home » Breaking: করোনা বিধ্বস্ত আমেরিকায় লকডাউন শিথিলের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

Breaking: করোনা বিধ্বস্ত আমেরিকায় লকডাউন শিথিলের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

নিউইয়র্ক: করোনা বিধ্বস্ত আমেরিকায় ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন হু হু করে বাড়লেও কয়েকটি জায়গার লকডাউন শিথিল করতে চলেছে সরকার৷

লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বিধ্বস্ত মার্কিন অর্থনীতির কথা ভেবে পর্যায়ক্রমে লকডাউন শিথিলের গাইডলাইন তৈরি করেছে ট্রাম্পের সরকার৷ করোনভাইরাস-সম্পর্কিত লকডাউনের পর আবার বেশ কয়েকটি জায়গা খোলার জন্য অস্থায়ী তারিখও ঠিক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

আলাবামা, আইডাহো, ওহিও এবং মিশিগান এই স্ট্রেট গুলি আগামী ১ মে নাগাদ আবার পুরনো রূপে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে৷ আর অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কলোরাডো ২৬ এপ্রিল এবং ওকলাহোমা ৩০শে এপ্রিল লকডাউন শিথিলের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে৷ টেক্সাস এবং ফ্লোরিডা-সহ আরও কয়েকটি স্ট্রেট শুক্রবার ট্রাম্পের ঘোষণার একদিন পরেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য আপডেট সময়সূচি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন।

তবে ক্ষতিগ্রস্থ নিউইয়র্কে লকডাউন শিথিলের ব্যপারে ধীরে চল নীতি নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ট্রাম্প তিন-পর্যায়ের গাইডলাইন প্রকাশের আগে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ দেশ লকডাউনকে সেরা পন্থা বলে মনে করেছে৷

যে সব স্ট্রেট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেই সব স্ট্রেটে অপরিহার্য সমস্ত ব্যবসাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ খুব প্রয়োজনীয় না-হলে মানুষকে বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে৷ তবে আরকানসাস, আইওয়া, নেব্রাস্কা, উত্তর ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, উটাহ, ওয়াইমিং এই সাতটি স্ট্রেটে এখনও বাসিন্দাদের এখনও বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়নি৷
তবে এই সাতটি স্ট্রেটে স্টে-অ্যাট-হোম অর্ডার না-থাকা সত্ত্বেও, কেউ কেউ মহামারীর মধ্যে স্কুল এবং কিছু অ-প্রয়োজনীয় ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে এখন তারাও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার পথে হাঁটতে চাইছে৷ ওহিও-র রিপাবলিকান গভর্নর মাইক দেওয়াইন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে, তারা আগামী ১ মে থেকে কিছু ব্যবসায়ে আবার চালু করার পরিকল্পনা করছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই ওহিওর অর্থনীতিকে আবারও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অবশ্যই লোকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে৷’
গভর্নর বলেছিলেন যে তিনি নতুন করে শুরু করার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে একটি অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করেছেন, যা ছোট এবং বড় কোম্পানির সিইওদের নিয়ে গঠিত।

করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা৷ মৃত্যুর নিরিখে সবার আগে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন মুলুকে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছ’লক্ষের বেশি৷

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *