Home » জমজমের পানি অলৌকিক, এতে রয়েছে সকল রোগের ঔষধ: জাপানি বিজ্ঞানী

জমজমের পানি অলৌকিক, এতে রয়েছে সকল রোগের ঔষধ: জাপানি বিজ্ঞানী

জাপানের জনৈক বিজ্ঞানী বলেছেন, মুসলমানদের পবিত্র পানি জমজম কোনো সাধারণ পানি নয়। এই পানি শুনতে পায় এবং দেখতে পায়। জাপানি বিজ্ঞানী মাসারু ইমোটো জমজমের পানির উপর একটি গভীর গবেষণা চালিয়ে এ দাবি করেন।

ইমোটো ১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে জাপানের ইয়োকোহামা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইয়োকোহামা মিউনিসিপ্যালিটি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও মানবিক উভয় বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি টোকিওতে আইএইচএম নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৯২ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিকল্প চিকিৎসাবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।

এছাড়া তিনি সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে পানির অনু বিভাজনের ধারণা প্রবর্তন করেন। তিনিই প্রথম চৌম্বকীয় তরঙ্গ বিশ্লেষণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। তখন থেকেই তিনি পানির রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যান। পৃথিবীর পানি নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি গতানুগতিক গবেষণার পরিবর্তে চিন্তাশীল গবেষণায় মনোনিবেশ করেন।

গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি প্রমাণ করেন, পানির মৌলিক উৎস জমাটবাঁধা বরফ। এবং তাঁর এই যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি সারা বিশ্বের প্রশংসা অর্জন করেন।

তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে, আমাদের ব্যক্তিগত ও সামগ্রিক সচেতনতা অত্যন্ত গভীরভাবে পানির সাথে সম্পর্কিত। তাঁর লিখিত বই “মেসেজ ফ্রম ওয়াটার” সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। তাঁর লেখা আরও দু’টি বিখ্যাত বই হলো, দ্য ট্রু পাওয়ার অব ওয়াটার ও দ্য হিডেন মেসেজ ইন ওয়াটার।

জমজমের পানি নিয়ে উক্ত গবেষণায় জাপানি বিজ্ঞানী ড. মাসারু ইমোটো পানির আনবিক পরিবর্তন রেকর্ড করার জন্য ফটোগ্রাফিক টেকনোলজি ব্যবহার করেন।

প্রথমে তিনি পানির ফোঁটাগুলোকে জমাটবদ্ধ করেন। অতঃপর ফটোগ্রাফিক বৈশিষ্ট্যসম্বলিত একটি অণুবীক্ষণযন্ত্র দ্বারা তিনি উক্ত জমাটবদ্ধ ফোঁটাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করেন। এবং এভাবেই তিনি জমজমের পানির অলৌকিকত্ব প্রমাণ করেন। তাঁর এই গবেষণা থেকে পাওয়া যায়, জমজমের পানি পান করার সময় আমরা যেই দুয়া পাঠ করি, সেই দুয়া’র শব্দ দ্বারা এই পানি প্রভাবিত হয়।

 

Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *